বান্দরবানে সেনাবাহিনীর অভিযান: ১৭৯ সন্ত্রাসী গ্রেফতার, ৭ সেনাসদস্য নিহত
- By Jamini Roy --
- 28 November, 2024
বান্দরবানের পাহাড়ি এলাকায় সেনাবাহিনীর বিশেষ অভিযানে গত এপ্রিল থেকে নভেম্বর পর্যন্ত পাহাড়ি সন্ত্রাসী সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল আর্মির (কেএনএ) ১৭৯ জন সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। একই সময়ে কেএনএর অতর্কিত হামলায় সাতজন সেনাসদস্য শহীদ হন। এসব তথ্য বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) বনানীর সেনা অফিসার্স মেসে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানিয়েছেন মিলিটারি অপারেশনস ডাইরেক্টরেটের কর্নেল ইন্তেখাব হায়দার খান।
কর্নেল ইন্তেখাব জানান, সেনাবাহিনীর অভিযানে ৬০টি সচল আগ্নেয়াস্ত্র এবং বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযানে দেশের পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছে সেনাবাহিনী। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, পাহাড়ি অঞ্চলে সন্ত্রাস দমনে এই বিশেষ অভিযান চালানো হচ্ছে যাতে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়।
কেএনএর অতর্কিত হামলায় সেনাবাহিনীর সাতজন সদস্য প্রাণ হারানোর বিষয়টি উল্লেখ করে কর্নেল ইন্তেখাব বলেন, এ ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম রোধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, গত ১৩ নভেম্বর থেকে পরিচালিত বিভিন্ন অভিযানে এখন পর্যন্ত ২২৮ জন মাদক ব্যবসায়ী এবং অন্যান্য ঘটনায় ১,৩২৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে অনেকেই বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে কর্নেল ইন্তেখাব বলেন, দেশের বর্তমান স্থিতিশীল পরিবেশকে অস্থিতিশীল করতে কিছু গোষ্ঠী সক্রিয়। এ ধরনের ইন্ধনদাতাদের প্রতিহত করতে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। সর্বসাধারণকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যথাসাধ্য কাজ করে যাচ্ছে।
বর্তমান আন্দোলন প্রসঙ্গে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে কর্নেল ইন্তেখাব বলেন, শিক্ষার্থীদের আরও দায়িত্ববান হতে হবে। যেকোনো ধরনের উসকানিমূলক কার্যক্রম এড়িয়ে চলতে হবে। শিক্ষার পরিবেশ ধরে রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
সেনাবাহিনী জানায়, সন্ত্রাস দমন অভিযানে যেকোনো ধরনের গুজব বা ভুল তথ্য ছড়ানো থেকে বিরত থাকতে হবে। এ বিষয়ে সেনাবাহিনী সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। একইসঙ্গে, সকল নাগরিককে দেশের নিরাপত্তা এবং স্থিতিশীলতা রক্ষায় দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানানো হয়।