Logo

আন্তর্জাতিক    >>   লেবাননের হিজবুল্লাহ ইসরাইলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতিকে ‘জয়’ হিসেবে আখ্যা

লেবাননের হিজবুল্লাহ ইসরাইলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতিকে ‘জয়’ হিসেবে আখ্যা

লেবাননের হিজবুল্লাহ ইসরাইলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতিকে ‘জয়’ হিসেবে আখ্যা

দীর্ঘ এক বছরের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের অবসান ঘটিয়ে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ নিজেদের ‘জয়ী’ ঘোষণা করেছে। তবে ইসরাইলের যেকোনো সম্ভাব্য আক্রমণের জন্য সর্বদা প্রস্তুত থাকার বার্তা দিয়েছে গোষ্ঠীটি।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং হিজবুল্লাহর মধ্যে ঐতিহাসিক যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তিটি বুধবার ভোর ৪টা থেকে কার্যকর হয় এবং প্রাথমিকভাবে এর মেয়াদ ধরা হয়েছে ৬০ দিন।

যুদ্ধবিরতি কার্যকরের পর হিজবুল্লাহ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “এই চুক্তি আমাদের জয়কে নিশ্চিত করেছে। আমরা আমাদের মাতৃভূমি রক্ষার জন্য সর্বদা প্রস্তুত।” তারা ইসরাইলকে দক্ষিণ লেবাননসহ দখলকৃত সব এলাকা থেকে সেনা প্রত্যাহারের আহ্বান জানায়।

ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি বলেন, "দক্ষিণ লেবানন থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে আরও অন্তত দুই মাস সময় লাগবে। যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘিত হলে এর কঠোর জবাব দেওয়া হবে।"

ইসরাইল এখনো লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে পর্যবেক্ষণ চালাচ্ছে। আকাশপথে নিয়মিত টহলও অব্যাহত রয়েছে।

যুদ্ধবিরতি চুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। তিনি বলেন, "মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘস্থায়ী অস্থিরতার মধ্যে এটি শান্তির এক আশার আলো।" একইসঙ্গে তিনি উভয় পক্ষকে চুক্তি মেনে চলার আহ্বান জানান।

যদিও যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হয়েছে, তবে চুক্তির শর্ত পুরোপুরি বাস্তবায়ন করা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যেই সন্দেহ ও উদ্বেগ বিরাজ করছে। লেবানন সরকার ইসরাইলকে তাদের সমস্ত দখলকৃত এলাকা থেকে সেনা সরানোর আহ্বান জানিয়েছে। অন্যদিকে, ইসরাইল তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পর্যবেক্ষণ চালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে।

এই যুদ্ধবিরতি মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি প্রক্রিয়ার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। তবে চুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়ন এবং সংঘাত বন্ধে উভয় পক্ষের আন্তরিকতা আগামী দিনের পরিস্থিতি নির্ধারণ করবে।