ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক বাড়ানোর পরিকল্পনা এবং চীনের প্রতিক্রিয়া
- By Jamini Roy --
- 26 November, 2024
যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০ জানুয়ারি তার শপথ নেওয়ার দিনেই চীনের ওপর অতিরিক্ত ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন। এই সিদ্ধান্তের পেছনে মূলত চীন থেকে আসা পণ্যের ওপর শুল্ক বাড়িয়ে মার্কিন মাটিতে মাদক চোরাচালান রোধ এবং অভিবাসন সমস্যার সমাধান করার ইচ্ছা রয়েছে। ট্রাম্পের এই পদক্ষেপের ফলে নতুন করে বাণিজ্য যুদ্ধের সূচনা হতে পারে, তবে চীনের পক্ষ থেকে এতে কোনো জয় সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন ওয়াশিংটনে চীনা দূতাবাস।
চীনা দূতাবাসের মুখপাত্র লিউ পেংইউ ২৬ নভেম্বর এক বিবৃতিতে বলেন, "যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে চীনের ওপর শুল্ক আরোপ করা, দুই দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্কের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে। চীন-যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যিক সম্পর্ক পারস্পরিক উপকারী, এবং কোনো পক্ষই বাণিজ্যযুদ্ধে জয়ী হতে পারবে না।" তিনি আরও বলেন, চীন মাদক পাচার রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিয়েছে এবং যুক্তরাষ্ট্রকে জানানো হয়েছে যে, চীন কোনোভাবেই ফেন্টানিলসহ মাদক উপাদান যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাহিত হতে দিচ্ছে না।
গত বছর, প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং এবং প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মধ্যে এক চুক্তির মাধ্যমে মাদক পাচার রোধে যৌথ প্রচেষ্টা চালানো শুরু হয়। যদিও, ফেন্টানিল তৈরিতে ব্যবহৃত রাসায়নিকের অবৈধ প্রবাহ বন্ধে কিছু অগ্রগতি দেখা গেছে, তবে তা ধীরগতির হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
এদিকে, ট্রাম্প তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে বলেন, "২০ জানুয়ারি আমি প্রথম নির্বাহী আদেশে মেক্সিকো এবং কানাডা থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আসা সব পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করার সিদ্ধান্ত নেব।" এছাড়া, চীনের মাদক পাচার প্রতিরোধে ব্যর্থতার কারণে ট্রাম্প আরও ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করার কথা জানিয়েছেন।
ট্রাম্প তার নির্বাচনী প্রচারণার সময় ইতিমধ্যে ঘোষণা করেছিলেন যে, তিনি চীনা পণ্যের ওপর ৬০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করবেন এবং মেক্সিকো থেকে আমদানি করা যানবাহনের ওপর ১০০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করবেন। ২০২৪ সালের ৫ নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তিনি ডেমোক্রেট প্রার্থী কমলা হ্যারিসকে হারিয়ে বিপুল ভোটে জয়ী হন। তার শপথ গ্রহণের পর থেকেই তার শুল্ক এবং বাণিজ্য সম্পর্কিত পদক্ষেপগুলো কার্যকর হবে বলে আশাবাদী।
ট্রাম্পের এই পদক্ষেপের উদ্দেশ্য মেক্সিকো, কানাডা এবং চীন থেকে আমদানি হওয়া পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপ করে, তাদের দেশের নিরাপত্তা ও অভ্যন্তরীণ সমস্যা সমাধানে চাপ সৃষ্টি করা। তবে, চীনা দূতাবাসের পক্ষ থেকে এই পদক্ষেপকে উদ্বেগজনক বলে মন্তব্য করা হয়েছে এবং তাদের মতে, এই ধরনের বাণিজ্য যুদ্ধের কোনো পক্ষই লাভবান হবে না।