যুক্তরাজ্যের তিনটি বিমানঘাঁটিতে ড্রোনের উপস্থিতি, নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ
- By Jamini Roy --
- 25 November, 2024
যুক্তরাজ্যের সাফোক এবং নরফোক কাউন্টিতে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের তিনটি বিমানঘাঁটিতে বেশ কয়েকটি ড্রোন উড়তে দেখা গেছে, যা আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহিনী (ইউএসএএফ) এবং ব্রিটেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছে, তবে ড্রোনগুলো কার পক্ষ থেকে পাঠানো হয়েছে তা নিয়ে কোনো তথ্য জানানো হয়নি। এই ঘটনা ঘটেছে গত বুধবার থেকে শনিবারের মধ্যে, এবং সেগুলো যুক্তরাষ্ট্রের ঘাঁটিগুলোর আশপাশে উড়তে দেখা গেছে।
বিশেষত, সাফোক কাউন্টিতে অবস্থিত দুইটি গুরুত্বপূর্ণ বিমানঘাঁটি—আরএএফ ল্যাকেনহিথ এবং আরএএফ মিল্ডেনহল—এবং নরফোক কাউন্টির আরএএফ ফেল্টওয়েল, যেখানে যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহিনী বিভিন্ন ধরনের আধুনিক যুদ্ধবিমান এবং অন্যান্য সামরিক কার্যক্রম পরিচালনা করে, সেখানে ড্রোনগুলো উড়তে দেখা যায়। ইউএসএএফ জানায়, এই ড্রোনগুলোকে শত্রু হিসেবে গণ্য করা হবে কিনা, সে বিষয়ে তারা এখনো নিশ্চিত নয়।
এদিকে, ব্রিটেনের পক্ষ থেকেও এই বিষয়ে কোনো বিশদ মন্তব্য করা হয়নি, তবে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, তারা যেকোনো ধরনের হুমকিকে গুরুত্ব সহকারে নেন এবং তাদের সাইটগুলোতে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা বজায় রাখেন। ড্রোন প্রতিরোধী প্রযুক্তি ব্যবহারের বিষয়টিও উল্লেখ করা হয়েছে, তবে সুরক্ষা ব্যবস্থার বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হয়নি।
ইউএসএএফ-এর এক মুখপাত্র জানান, "ড্রোনগুলোর সংখ্যা এবং আকার পরিবর্তনশীল, এবং এগুলো বিভিন্ন কনফিগারেশনে থাকতে পারে। তাদের সক্রিয়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে, এবং ঘাঁটির কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন যে, এগুলোর উপস্থিতি ঘাঁটির বাসিন্দা বা গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোর ওপর কোনো প্রভাব ফেলেনি।"
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, "অপারেশনাল নিরাপত্তার স্বার্থে, আমরা নিরাপত্তা ব্যবস্থার বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করব না। তবে, ঘাঁটিগুলোর নিরাপত্তা রক্ষার অধিকার আমাদের রয়েছে এবং আমরা সেগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এবং মিশন অংশীদারদের সাথে কাজ করছি।"
এছাড়া, আরএএফ মিলডেনহল যুক্তরাষ্ট্রের ১০০তম এয়ার রিফুয়েলিং উইং-এর ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহৃত হয়, যা বিমানগুলোকে বিমানধ্বংসী অস্ত্রগুলির সাথে যুক্ত করতে সহায়তা করে। আরএএফ ল্যাকেনহেথ যুক্তরাষ্ট্রের এফ-৩৫এ এবং এফ-১৫ই যুদ্ধবিমানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি কেন্দ্র। আরএএফ ফেল্টওয়েল, মূলত লজিস্টিকস এবং সামরিক কর্মীদের আবাসন কার্যক্রমে ব্যবহৃত হয়।
যেহেতু ড্রোনগুলোর গন্তব্য এবং উদ্দেশ্য স্পষ্ট নয়, এটি সামরিক পর্যায়ে এক ধরনের উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। নিরাপত্তা ব্যবস্থার অংশ হিসেবে, যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য উভয়ই তাদের আকাশসীমা পর্যবেক্ষণ এবং রক্ষায় আরো জোরদার পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।