Logo

আন্তর্জাতিক    >>   ট্রাম্প ও ইলন মাস্কের সম্পর্ক কি শীতল হয়ে যাচ্ছে?

ট্রাম্প ও ইলন মাস্কের সম্পর্ক কি শীতল হয়ে যাচ্ছে?

ট্রাম্প ও ইলন মাস্কের সম্পর্ক কি শীতল হয়ে যাচ্ছে?

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে প্রশাসনিক সিদ্ধান্তে টেসলার প্রধান ইলন মাস্কের প্রভাব ক্রমেই কমছে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা। হোয়াইট হাউজে যাওয়ার আগেই মাস্কের পরামর্শ উপেক্ষা করা হচ্ছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

ইলন মাস্ক ছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণার অন্যতম বড় পৃষ্ঠপোষক। ট্রাম্পের প্রচারণার জন্য তিনি প্রায় ২০ কোটি ডলার ব্যয় করেছেন। নির্বাচনের পর সরকারি দক্ষতা উন্নয়ন বিভাগের নেতৃত্বের জন্য মাস্ককে নির্বাচিত করেন ট্রাম্প। কিন্তু এর পর থেকেই সম্পর্কের উষ্ণতায় ভাটা পড়েছে বলে মনে হচ্ছে।

সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যম এক্সে দেওয়া একটি পোস্টে মাস্ক নিজেই জানিয়েছেন যে ট্রাম্পের মন্ত্রিসভার বেশ কয়েকজন সদস্যের নিয়োগ তাঁর অজান্তে হয়েছে। মাস্ক লিখেছেন, “মন্ত্রিসভার সদস্য নির্বাচনের বিষয়ে কিছু প্রার্থীর ব্যাপারে আমি মতামত দিয়েছি। তবে অনেকের নিয়োগ হয়েছে আমাকে জানানো ছাড়াই। এসব সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণই প্রেসিডেন্টের।”

মাস্ক আরও বলেন, “আমি প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সময় কাটাতে খুব ভালোবাসি এবং তাঁকে কখনো কোনো খারাপ কাজ করতে দেখিনি। তবে প্রশাসনিক সিদ্ধান্তে তাঁর নিজস্ব মতামতই বেশি প্রাধান্য পাচ্ছে।”

নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইলন মাস্কের মতো প্রভাবশালী একজন ব্যক্তি ট্রাম্প প্রশাসনে নিজের মতামত প্রতিষ্ঠায় যথেষ্ট চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছেন। অন্যদিকে, ট্রাম্প এক বিবৃতিতে মজা করে বলেছেন, “আমি তাঁকে বাসার বাইরে রাখতে পারি না। তাঁর এখানে থাকাটা আমি উপভোগ করি। তিনি একজন অসাধারণ মানুষ এবং দুর্দান্ত কাজ করেছেন।”

বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্প প্রশাসনের প্রাতিষ্ঠানিক সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত সম্পর্কের চেয়ে নীতিনির্ধারণী প্রক্রিয়াই বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে। মাস্কের মতো প্রযুক্তি নেতারা গুরুত্বপূর্ণ হলেও প্রশাসনিক স্তরে তাঁদের প্রভাব সীমিত। ট্রাম্পের প্রাক্তন চিফ অব স্টাফ মিক মূলভেনি জানিয়েছেন, “মাস্কসহ অন্যান্য প্রযুক্তি নেতারা প্রশাসনের নীতি প্রণয়নে অংশগ্রহণ করলেও সিদ্ধান্ত গ্রহণে তাঁদের ভূমিকা সীমাবদ্ধ।”

ট্রাম্প প্রশাসনের এই ধারা নতুন নয়। এর আগেও ঘনিষ্ঠ সহযোগী স্টিভ ব্যাননকেও হঠাৎ করে প্রশাসন থেকে সরিয়ে দিয়েছিলেন ট্রাম্প।

মাস্ক এবং ট্রাম্পের সম্পর্ক নিয়ে বিশেষজ্ঞরা প্রশ্ন তুলছেন। যদিও ট্রাম্প এবং মাস্ক একে অপরকে প্রশংসায় ভাসাচ্ছেন, তবে প্রশাসনিক সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে মাস্কের গুরুত্ব ক্রমেই কমছে। এটি ভবিষ্যতে তাঁদের সম্পর্কের স্থায়িত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারে।

বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্কের প্রভাব ও ভূমিকা নিয়ে জল্পনা-কল্পনা থাকলেও, ট্রাম্প প্রশাসনের কার্যক্রমে তাঁর ভূমিকা আসলে কতটুকু তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।