Logo

আন্তর্জাতিক    >>   কুরস্কে ইউক্রেনের দখল কমে যাচ্ছে, রাশিয়ার পাল্টা আক্রমণ

কুরস্কে ইউক্রেনের দখল কমে যাচ্ছে, রাশিয়ার পাল্টা আক্রমণ

কুরস্কে ইউক্রেনের দখল কমে যাচ্ছে, রাশিয়ার পাল্টা আক্রমণ

ইউক্রেনের কুরস্ক অঞ্চলে এক বছরের মধ্যে ঘটে যাওয়া গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনগুলি রাশিয়ার পক্ষ থেকে পাল্টা আক্রমণের প্রভাবকে স্পষ্ট করছে। কিয়েভের সামরিক বাহিনী আগস্টে আকস্মিক অভিযানে প্রায় ১,৩৭৬ বর্গকিলোমিটার এলাকা দখল করেছিল। তবে বর্তমানে ইউক্রেনের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে মাত্র ৮০০ বর্গকিলোমিটার, যা রাশিয়ার বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণের পরিসরে বেশ কমে গেছে।

ইউক্রেনের সামরিক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কুরস্কে রাশিয়ার প্রচণ্ড পাল্টা আক্রমণের মুখে তারা পূর্ববর্তী অবস্থান ধরে রাখতে সংগ্রাম করছেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর প্রথমবারের মতো ইউক্রেনের বাহিনী রুশ ভূখণ্ডে প্রবেশ করেছিল, এবং কুরস্কে তাদের অভিযান রাশিয়াকে একেবারে অপ্রস্তুত করে দেয়। তবে রাশিয়া এখন সেখানে প্রায় ৫৯,০০০ সৈন্য মোতায়েন করেছে এবং শত্রুর পাল্টা হামলা বাড়ানোর ফলে ইউক্রেনের অবস্থান দুর্বল হয়ে পড়েছে।

ইউক্রেনের এক শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা জানান, ‘কুরস্কে আমাদের সর্বোচ্চ দখল ছিল ১,৩৭৬ বর্গকিলোমিটার, তবে এখন সেই পরিমাণ কমে এসেছে।’ রাশিয়া কুরস্কে সহায়তার জন্য ১১,০০০ উত্তর কোরীয় সেনা পাঠিয়েছে, যদিও তাদের বেশিরভাগ এখনো প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী কুরস্কে টিকে থাকার চেষ্টা করলেও, পরিস্থিতি দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে, আর রাশিয়া ওই অঞ্চলে তাদের প্রতিরক্ষা শক্তি বৃদ্ধি করেছে।

এদিকে, প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি দাবি করেছেন যে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ২০ জানুয়ারির মধ্যে কুরস্ক পুরোপুরি দখলে নেওয়ার চেষ্টা করবেন। জেলেনস্কি আরও বলেন, ‘পুতিন প্রমাণ করতে চান যে, পরিস্থিতি তার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, তবে বাস্তবে পরিস্থিতি তার নিয়ন্ত্রণে নেই।’

বুধবার, মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী অস্টিন লয়েড জানিয়েছেন যে, উত্তর কোরীয় সেনারা রাশিয়ার বাহিনীর সহায়তায় কুরস্ক অঞ্চলে যোগদান করবে। তবে এটি আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার মধ্যে একটি নতুন মিত্রতা, কারণ পিয়ংইয়ং ১০ লাখ ব্যারেল জ্বালানি তেল রফতানি করেছে মস্কোর সঙ্গে সামরিক সহায়তার বিনিময়ে।

রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে এই সংঘাত কেবল কুরস্ক অঞ্চল পর্যন্ত সীমাবদ্ধ নয়। ইউক্রেনের বাহিনী পূর্ব এবং দক্ষিণাঞ্চলে রুশ আক্রমণ প্রতিরোধে প্রস্তুত হচ্ছে। একই সঙ্গে, রাশিয়ার দোনবাস অঞ্চলে অগ্রগতি অব্যাহত রয়েছে, যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে।