ঢামেক শিক্ষার্থীদের ভূমিকা ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন
- By Jamini Roy --
- 23 November, 2024
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ২৩ নভেম্বর ঢামেকের শহীদ ডা. মিলন অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত ‘জুলাই বিপ্লবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তব্য রাখেন। তিনি সেমিনারে অংশগ্রহণকারী ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ঢামেক) শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা ও তাদের সাহসিকতার জন্য তাদের ধন্যবাদ জানান এবং তাদের অবদানের কথা স্মরণ করেন।
আসিফ মাহমুদ সজীব বলেন, "১৫ জুলাই যখন আমরা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করি, তখন আমরা আতঙ্কিত ছিলাম, কিন্তু ১৬ জুলাই সকালে রাজু ভাস্কর্যে ঢামেকের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে অংশগ্রহণ দেখে আমরা অনুপ্রাণিত হয়েছি।" তিনি আরও বলেন, “মেডিকেল শিক্ষার্থীরা ছিল সম্পূর্ণ নিবেদিতপ্রাণ এবং তাদের ভূমিকা আন্দোলনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আপনাদের অবদান কখনও ভুলে যাওয়া যাবে না।"
ঢামেকের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ আন্দোলনে নতুন প্রাণ সঞ্চার করেছে উল্লেখ করে সজীব বলেন, "আপনারা খুবই সাহসী এবং আপনারা শোকরিয়া পাওয়ার যোগ্য।" তিনি বলেন, শেখ হাসিনা সরকার দেশে চিকিৎসা খাতকে রাজনীতিকরণ করেছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। তিনি বলেন, "এই সেবা খাতকে রাজনীতিমুক্ত রাখতে হবে, যাতে এটি দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করতে পারে।"
এছাড়া সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক তারিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, "জুলাই বিপ্লবের পর ঢামেকের অবদান গুরুত্বপূর্ণ হলেও, ৫ আগস্টের পর আমরা পুরোপুরি সেই অবদান স্বীকৃতি দিতে পারিনি। আমাদের এই আয়োজনের উদ্দেশ্য জাতির কাছে ঢামেকের অবদান তুলে ধরা।"
তারিকুল ইসলাম অভিযোগ করেন, "৪ আগস্ট স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) দালাল চিকিৎসকরা বিভিন্ন মেডিকেলে শান্তি সমাবেশ আয়োজন করেন, যা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ছিল।" তিনি আরও বলেন, "আওয়ামী লীগ স্বাস্থ্য খাতকে পুরোপুরি রাজনীতির মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করেছে, যা দেশের জন্য ক্ষতিকর। আমাদের দাবি, চিকিৎসা খাতে আর কোনো রাজনীতি চলবে না।"
সেমিনারে বক্তারা একযোগে চিকিৎসা খাতকে রাজনীতির প্রভাব থেকে মুক্ত করার জন্য আহ্বান জানিয়ে দেশব্যাপী আন্দোলনের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।