চ্যাম্পিয়নস ট্রফি ট্যুরে নতুন মোড়
- By Jamini Roy --
- 17 November, 2024
বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম আলোচিত প্রতিযোগিতা চ্যাম্পিয়নস ট্রফি নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ছে। আগেই জানা গিয়েছিল যে, ভারত চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলতে পাকিস্তানে যাবে না, আর পাকিস্তানও টুর্নামেন্ট ‘হাইব্রিড মডেলে’ আয়োজন করতে রাজি নয়। এই পরিস্থিতিতে আইসিসি সমাধান করতে গিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে, তবে নতুন খবর হলো পাকিস্তান চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ট্যুর নিয়ে নতুন পরিকল্পনা করেছে, যা ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)-এর আপত্তির মুখে পড়েছে।
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) গত পরশু নিজেদের এক্স হ্যান্ডেলে জানিয়েছে যে, চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ট্যুর ইসলামাবাদ থেকে শুরু হবে। এই ট্যুরটি পাকিস্তানের বিভিন্ন শহর যেমন করাচি, লাহোর, রাওয়ালপিন্ডি ছাড়াও দেশের একদম অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের স্থানগুলো যেমন হুনজা, স্কার্দু, মারে এবং মুজাফফরবাদেও যাবে। বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য হলো, হুনজা ও স্কার্দু পাকিস্তান-শাসিত কাশ্মীরের গিলগিট-বালতিস্তানে, মারে পাঞ্জাবে এবং মুজাফফরবাদ আজাদ কাশ্মীরে অবস্থিত।
পাকিস্তান যখন এই বিশাল ট্যুর আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছিল, তখন ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’ জানায় যে, ভারতের ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ট্যুর নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে। বিসিসিআইয়ের সচিব জয় শাহ সংবাদমাধ্যমকে জানান, ‘পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর অঞ্চলে ট্রফি ট্যুর নিয়ে আমাদের আপত্তি রয়েছে। তবে অন্য কোনো শহরে, স্টেডিয়ামে বা শপিং মলে ট্রফি ট্যুর হলে আমাদের কোনো আপত্তি নেই।’
বিসিসিআইয়ের এই আপত্তির পর পিসিবি করাচি, লাহোর এবং রাওয়ালপিন্ডি শহরে ট্রফি ট্যুর সীমাবদ্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পিসিবির এক সূত্রের বরাত দিয়ে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানিয়েছে, ‘পিসিবি এখন আইসিসির সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে কীভাবে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির কার্যক্রম আরও জনপ্রিয় করা যায়।’ এর ফলে, হুনজা, স্কার্দু, মারে এবং মুজাফফরবাদে ট্রফি ট্যুরের পরিকল্পনা বাতিল করা হয়েছে।
২০২৫ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির শুরুর তারিখ নির্ধারিত হলেও, ভারত পাকিস্তানে খেলতে যাবে না এবং পাকিস্তানও ‘হাইব্রিড মডেল’ মেনে নিতে চায় না। পাকিস্তান আনুষ্ঠানিকভাবে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আয়োজক দেশ হলেও, তারা চায় টুর্নামেন্টটি সম্পূর্ণ নিজেদের দেশে আয়োজন করা হোক। যদি অন্য কোনো দেশে টুর্নামেন্ট আয়োজন করা হয়, তাহলে পাকিস্তান এটি থেকে নাম প্রত্যাহার করতে পারে।