পাকিস্তানকে আয়োজক রেখেই আইসিসির ভিডিও প্রকাশ
- By Jamini Roy --
- 14 November, 2024
ক্রিকেটের দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে নতুন করে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছে। আগামী বছরের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও, ভারত সরকারের আপত্তির কারণে ভারত পাকিস্তানে যাবে না বলে নিশ্চিত করেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। এই পরিস্থিতিতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি বাস্তবায়ন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, বিশেষত যখন পাকিস্তান নিজেই আয়োজক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) ইতোমধ্যে আয়োজক দেশ হিসেবে পাকিস্তানকে অন্তর্ভুক্ত করেছে।
ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে রাজনৈতিক বিরোধের কারণে। তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আসরগুলোতে দলগুলো একে অপরকে মোকাবিলা করে থাকে। ২০১৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এবং ২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ ছিল সেই বিরল উদাহরণ যেখানে পাকিস্তান ভারতের মাটিতে খেলেছে, কিন্তু ভারত পাকিস্তানে খেলতে যায়নি। এবারেও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে একই অবস্থা। বিসিসিআই ইতোমধ্যে লিখিতভাবে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) এবং আইসিসিকে জানিয়েছে, তারা পাকিস্তানে খেলতে যাবে না।
এই পরিস্থিতিতে ভারত হাইব্রিড মডেল গ্রহণের প্রস্তাব দিয়েছে, যার মাধ্যমে পাকিস্তানে ম্যাচগুলো আয়োজন হলেও ভারত সেখানে যাবে না। তবে, পিসিবি এবং আইসিসি উক্ত মডেল মেনে নিতে রাজি নয়। পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি স্পষ্ট করে জানিয়েছেন যে, তারা হাইব্রিড মডেল গ্রহণ করবে না। এর ফলে আইসিসি চাপে পড়ে এবং পাকিস্তানকে সরাসরি এই মডেল মেনে নেয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করছে। এমনকি, আইসিসি এই পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আয়োজন দক্ষিণ আফ্রিকায় স্থানান্তরের সম্ভাবনা ভাবছে।
বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি, পাকিস্তান ও ভারতের ক্রিকেট বোর্ডের কোনো পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য আসেনি। তবে, চলমান উত্তেজনা ও রাজনৈতিক সংকটের কারণে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সূচি এখনও চূড়ান্ত হয়নি। আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শুরু হওয়ার কথা থাকলেও, ভারত-পাকিস্তানের এই দ্বন্দ্বে পুরো টুর্নামেন্টের ভবিষ্যত প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়েছে।
পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক রশিদ লতিফ মনে করেন, আইসিসির উচিত ভারত এবং পাকিস্তানকে কোনো আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট আয়োজনের সুযোগ না দেয়া, যতদিন না পর্যন্ত দুই দেশের মধ্যে রাজনৈতিক সমস্যা সমাধান না হয়। এর ফলে উভয় দেশের মধ্যে সংঘাত এড়ানো সম্ভব হতে পারে এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের স্বার্থে একটি স্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি হতে পারে।
এই পরিস্থিতিতে আইসিসির জন্য এটি বড় একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে, কারণ যদি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত না হয়, তবে বিশ্ব ক্রিকেটের ইতিহাসে এটি একটি বড় ধাক্কা হতে পারে।