Logo

খেলাধুলা    >>   রদ্রির ঐতিহাসিক ব্যালন ডি'অর জয়

রদ্রির ঐতিহাসিক ব্যালন ডি'অর জয়

রদ্রির ঐতিহাসিক ব্যালন ডি'অর জয়

ম্যানচেস্টার সিটির স্প্যানিশ মিডফিল্ডার রদ্রি ২০২৪ সালের ব্যালন ডি’অর পুরস্কার জিতে স্পেনের ফুটবল ইতিহাসে সোনালি অধ্যায়ের সূচনা করলেন। প্রায় ৬৪ বছর পর কোনো স্প্যানিশ খেলোয়াড় পুরস্কারটি জিতলেন, যা শেষবারের মতো জিতেছিলেন ১৯৬০ সালে লুইস সুয়ারেজ। এই অসামান্য অর্জনের ঘোষণা দেন লাইবেরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট ও কিংবদন্তি ফুটবলার জর্জ উইয়াহ।

অনুষ্ঠানে কালো স্যুট ও বো-টাই পরে ক্রাচে ভর দিয়ে মঞ্চে হাজির হন রদ্রি। প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে আর্সেনালের বিরুদ্ধে এসিএল চোটে পড়া সত্ত্বেও তিনি অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন এবং নিজের প্রেমিকা লরার সামনে উঁচিয়ে ধরেন ব্যালন ডি’অর ট্রফি। বিশেষ এই মুহূর্তটিকে তিনি পরিবারের পাশাপাশি দেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন হিসেবে উল্লেখ করেন।

গত মৌসুমে রদ্রি ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে প্রিমিয়ার লিগ, ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ ও উয়েফা সুপার কাপসহ স্পেনের জার্সিতে ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ জেতার জন্য উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখেন। পুরো মৌসুমে ৬৩টি ম্যাচে অংশ নিয়ে ১২টি গোল ও ১৬টি অ্যাসিস্ট করেন তিনি। তার নিখুঁত পাস ও বুদ্ধিদীপ্ত খেলা মাঠে যেন এক অর্কেস্ট্রার কন্ডাক্টরের মতো স্প্যানিশ ও ইংলিশ সমর্থকদের মাঝে ছড়িয়ে দেয় আনন্দের বন্যা।

২০২৪ ব্যালন ডি'অর প্রতিযোগিতায় ভিনিসিউস জুনিয়রসহ আরও ২৯জন প্রতিদ্বন্দ্বীর সাথে প্রতিযোগিতা করে রদ্রি জয়ী হন। ভোটের নিরিখে ভিনিসিউস, দানি কারভাহাল, জুড বেলিংহ্যাম, আর্লিং হলান্ড ও কিলিয়ান এমবাপ্পে পরবর্তী স্থানে অবস্থান করেন।

অনুষ্ঠানে নিজের চোট নিয়ে রদ্রি বলেন, “আগের চেয়ে ভালো বোধ করছি। এটি জীবনেরই অংশ।” পুরস্কার গ্রহণের সময় মঞ্চে আবেগাপ্লুত রদ্রি বলেন, "আমার পরিবার, আমার দেশ ও আমার জন্য আজকের দিনটি অত্যন্ত বিশেষ।” সেই সাথে তিনি তার প্রেমিকা লরাকেও ধন্যবাদ জানান, কারণ এই দিনটি তাদের অষ্টম বার্ষিকী।

রদ্রি ব্যালন ডি'অর জিততে গিয়ে কয়েক দশকের পুরনো ইতিহাস ভেঙে ফেলেন। ২০০৬ সালের ফাবিও কানাভারোর পর তিনিই প্রথম ডিফেন্সিভ খেলোয়াড় হিসেবে ব্যালন ডি'অর অর্জন করলেন। আর প্রিমিয়ার লিগের সপ্তম খেলোয়াড় হিসেবে ব্যালন ডি'অর জয়ী খেলোয়াড়দের তালিকায় নাম লেখালেন।

ব্যক্তিগত জীবন ও চরিত্র নিয়ে রদ্রি বলেন, "আমি একজন সাধারণ মানুষ, ভালো খেলার ও ভালো মানুষ হওয়ার চেষ্টা করি। ছোটদের জন্য বলছি, পাগলাটে না হয়েও সাফল্য অর্জন করা সম্ভব।"

গার্ড মুলার ট্রফি জয় করেছেন কিলিয়ান এমবাপ্পে ও হ্যারি কেইন, লেভ ইয়াশিন ট্রফি অর্জন করেছেন আর্জেন্টিনার গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ এবং সেরা তরুণ খেলোয়াড়ের পুরস্কার রেমন্ড কোপা ট্রফি জিতেছেন বার্সেলোনার লামিনে ইয়ামাল। এছাড়াও ছেলেদের বর্ষসেরা ক্লাব হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ এবং মেয়েদের বর্ষসেরা ক্লাব বার্সেলোনা।

রদ্রির এই অর্জন প্রমাণ করেছে, মাঠের পেছনে থেকে নিঃশব্দে খেলার নেতৃত্ব দেওয়াও পারে ফুটবল জগতে সর্বোচ্চ সম্মান এনে দিতে।





P.S 220 Winter concert

P.S 220 Winter concert