Logo

অপরাধ    >>   মোহাম্মদপুরে সন্ত্রাসী কার্যক্রম প্রতিরোধে সেনাবাহিনীর অস্থায়ী ক্যাম্প স্থাপন

মোহাম্মদপুরে সন্ত্রাসী কার্যক্রম প্রতিরোধে সেনাবাহিনীর অস্থায়ী ক্যাম্প স্থাপন

মোহাম্মদপুরে সন্ত্রাসী কার্যক্রম প্রতিরোধে সেনাবাহিনীর অস্থায়ী ক্যাম্প স্থাপন

মোহাম্মদপুরের বিভিন্ন হাউজিং এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী অস্থায়ী ক্যাম্প স্থাপন করছে। রবিবার (২৭ অক্টোবর) থেকে সেনাবাহিনী এসব ক্যাম্পের মাধ্যমে নিয়মিত পর্যবেক্ষণ ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম প্রতিরোধে কাজ করবে।

শনিবার (২৬ অক্টোবর) গভীর রাতে যৌথ অভিযান শেষে সংবাদ সম্মেলনে ২৩ ইস্ট বেঙ্গল ব্যাটালিয়নের উপ-অধিনায়ক মেজর নাজিম আহমেদ এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, “মোহাম্মদপুর এলাকায় ২৭ থেকে ২৮টি কিশোর গ্যাং সক্রিয় রয়েছে বলে তথ্য পেয়েছি। তাই দুই-তিনটি হাউজিং এলাকায় একটি করে অস্থায়ী ক্যাম্প স্থাপন করা হবে, যেখান থেকে সেনা সদস্যরা সার্বক্ষণিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করবেন।”

শনিবারের অভিযানে বসিলা সুপারশপে ডাকাতির ঘটনায় দুজনসহ মোট ৪৬ জন সন্ত্রাসীকে আটক করেছে সেনাবাহিনী। এ সময় তাদের কাছ থেকে দেশীয় অস্ত্রও উদ্ধার করা হয়। মেজর নাজিম জানান, “ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত ১৯৭ জনকে আটক করা হয়েছে এবং এর মধ্যে ১৫-১৬ জন চাঁদাবাজি ও ডাকাতির মতো অপরাধে যুক্ত ছিলেন।”

মোহাম্মদপুরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ক্রমশ অবনতির দিকে গেলে এলাকার বাসিন্দারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশের কাছে ৭২ ঘণ্টার সময়সীমা নির্ধারণ করেন এবং এরপরও উন্নতি না হলে থানায় অবস্থানের ঘোষণা দেন।

ঢাকা উদ্যান, একতা, নবোদয়, নবীনগর, শ্যামলী হাউজিং ও তুরাগ নদসংলগ্ন এলাকায় সন্ত্রাসী কার্যক্রমে আতঙ্ক বেড়েই চলছে। সন্ধ্যা হলেই এই এলাকায় ছিনতাইকারীরা ভয়াবহ আক্রমণ চালায়। এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, একদল যুবক চাপাতি নিয়ে মানুষের উপর হামলা চালিয়ে সর্বস্ব কেড়ে নেয়।

মোহাম্মদপুরের এই ক্রমবর্ধমান সন্ত্রাসী কার্যক্রম প্রতিরোধে রোববার থেকেই এলাকাজুড়ে সেনাবাহিনীর অস্থায়ী ক্যাম্প স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।