Logo

খেলাধুলা    >>   অ্যাথলেটিকস থেকে আবারও নিষিদ্ধ জহির রায়হান

অ্যাথলেটিকস থেকে আবারও নিষিদ্ধ জহির রায়হান

অ্যাথলেটিকস থেকে আবারও নিষিদ্ধ জহির রায়হান

Progga News Desk:

দেশের অন্যতম সেরা অ্যাথলেট জহির রায়হান আবার নিষিদ্ধ হয়েছেন। ছয় মাসের জন্য তাঁকে অ্যাথলেটিকসের সব ধরনের কার্যক্রমে নিষিদ্ধ করেছে বাংলাদেশ অ্যাথলেটিকস ফেডারেশন। যদিও আজ রাতে ফেডারেশন থেকে সংবাদমাধ্যমে পাঠানো ই–মেইল বার্তায় নিষেধাজ্ঞার পরিবর্তে অব্যাহতি শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে। অ্যাথলেট জহির রায়হানকে আপাতত ছয় মাসের জন্য জাতীয় প্রশিক্ষণ ক্যাম্প, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সকল অ্যাথলেটিকস প্রতিযোগিতা, তৎসংশ্লিষ্ট যাবতীয় কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে।

জহির রায়হান ৪০০ মিটারে দৌড়ে জাতীয় রেকর্ডধারী। ইভেন্টটিতে কয়েক বছর ধরে অপ্রতিদ্বন্দ্বী তিনি। গত বছর এশিয়ান ইনডোরে ৪০০ মিটার দৌড়ে জিতেছেন রুপা। গত মাসে চীনে বিশ্ব ইনডোর অ্যাথলেটিকসে প্রতিনিধিত্ব করেছেন বাংলাদেশের। ২০২১ সাল খেলেছেন টোকিও অলিম্পিকে।

তাঁর বিরুদ্ধে পত্রিকায় মিথ্যা তথ্য প্রকাশ করে ফেডারেশনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করা ও জাতীয় দলের প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনের যুগ্ম সম্পাদক কিতাব আলী প্রথম আলোকে বলেন, ‘শৃঙ্খলাজনিত কারণে জহিরকে এই শাস্তি দেওয়া হয়েছে। চলমান জাতীয় দলের ক্যাম্পে সে ওঠেনি প্রথমে। অথচ নৌবাহিনী তাকে জাতীয় দলের ক্যাম্পের জন্য ছেড়েছে। আমরা বিষয়টি নৌবাহিনীকে চিঠি দিয়ে জানাই। তবু সে ক্যাম্পে যোগ দেয়নি। এরপর বিশ্ব ইনডোরে যাওয়ার আগে ক্যাম্পে এসেছিল। এক দিন ছিল। কিন্তু অনুশীলন করেনি। চীনে যাওয়া নিয়ে ব্যস্ত ছিল।

কিতাব আলী বলেন, ‘বিশ্ব ইনডোর থেকে এসে আর যোগ দেয়নি ক্যাম্পে। চীন থেকেই পত্রিকায় সাক্ষাৎকার দিয়ে নিজের খারাপ পারফরম্যান্সের ব্যাখ্যা দিয়ে বলেছে, সে নাকি ট্রেনিং পায়নি। তাই ভালো করেনি। তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় ফেডারেশন। সেটারও উত্তর দেয়নি। এসব কারণে ছয় মাসের জন্য অ্যাথলেটিকসের সব কার্যক্রম থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে জানতে জহির রায়হানের সঙ্গে যোগাযোগ এ ব্যাপারে তিনি কোনো মন্তব্য করতে চাননি। তবে দ্রুতই তাঁর বিপক্ষে আনা অভিযোগের আনুষ্ঠানিক জবাব দেবেন বলে জানিয়েছেন।

এর আগে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে বাংলাদেশ অ্যাথলেটিকস ফেডারেশন জহিরকে অনির্দিষ্টকাল নিষিদ্ধ করে। ধর্ষণের অভিযোগে সে সময় তাঁকে জেলে যেতে হয়েছিল। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে তাঁর নিষেধাজ্ঞা শর্তসাপেক্ষে প্রত্যাহার করে ফেডারেশন।