সরফরাজ খানের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরির পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক ক্রিকেটার ইয়ান বিশপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে একটি পোস্টে লিখেছেন, ‘সরফরাজ খানের জন্য নিখাদ আনন্দ। নিজের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরির আনন্দ তিনি যেমন উপভোগ করেছেন, তাঁর সতীর্থরাও তেমনি উপভোগ করেছে। কখনো হাল ছেড়ো না, নিজের কাজটা করে যাও।’
শচীন টেন্ডুলকারও এক্সে সরফরাজের প্রশংসা করেছেন। তিনি বেঙ্গালুরু টেস্টের রাচিন রবীন্দ্রের সেঞ্চুরির সঙ্গে সরফরাজের সেঞ্চুরির তুলনা করে বলেন, ‘ক্রিকেট আমাদের শেকড়ের সঙ্গে সংযুক্ত করে।’ সরফরাজ খানের সেঞ্চুরি এমন এক সময় এলো, যখন ভারতকে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন ছিল।
বেঙ্গালুরু টেস্টে সরফরাজ ৭০ রানে অপরাজিত থেকে তৃতীয় দিনের খেলা শেষ করেন। ভারতের ইনিংস তখনো নিউজিল্যান্ডের প্রথম ইনিংসের তুলনায় ১২৫ রানে পিছিয়ে ছিল। তবে আজ সকালের সেশনে ভারতের কোনো উইকেট না পড়ে, ২২ ওভারে ১১৩ রান যোগ করে, তারা ম্যাচে ফিরে আসার ইঙ্গিত দেয়। ভারত এখন মাত্র ১২ রানে পিছিয়ে এবং সরফরাজ ও ঋষভ পন্তের ব্যাটিংয়ে বড় লিড নেওয়ার স্বপ্ন দেখছে।
সরফরাজ খানের এই সাফল্যের পেছনে রয়েছে তাঁর কঠোর পরিশ্রম এবং মা-বাবার ত্যাগ। ছোটবেলায় বাবা ছিলেন তাঁর কোচ ও মেন্টর। ছেলেকে ক্রিকেটার বানাতে তাঁরা পারিবারিক অনুষ্ঠানও বর্জন করেছেন।
২০০৯ সালে মাত্র ১২ বছর বয়সে ভারতের হ্যারিস শিল্ড আন্তঃস্কুল টুর্নামেন্টে ৪৩৯ রানের ইনিংস খেলে সরফরাজ আলোচনায় আসেন। এরপর ঘরোয়া ক্রিকেটে তাঁর ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছেন। তাঁর প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে এটি ১৬তম সেঞ্চুরি এবং এর মধ্যে ১০টি ১৫০+ স্কোর।
আজ, বেঙ্গালুরু টেস্টে তাঁর অপরাজিত ১২৫ রানের ইনিংসই ভারতের ঘুরে দাঁড়ানোর প্রধান কারণ। নিউজিল্যান্ড তাঁকে প্রতিহত করতে পারবে কি না, তা নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
সরফরাজ তাঁর ক্যারিয়ারের চতুর্থ টেস্টে প্রথম সেঞ্চুরি করলেও প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তাঁর সাফল্য অনেক আগের। চারে ব্যাটিং করে সেঞ্চুরি পেয়ে ভারতকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিনি। শূন্য রানে আউট হওয়ার পর সেঞ্চুরি করা ভারতের নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে সরফরাজ ইতিহাসের অংশ হয়েছেন, শচীন টেন্ডুলকার ও বিরাট কোহলিদের সঙ্গে।