সনাতনী হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতন ও চিন্ময় কৃষ্ণ ব্রহ্মচারীর নেতৃত্বে প্রতিরোধ আন্দোলন
এডভোকেট চৈতালি চক্রবর্তী, প্রজ্ঞা নিউজ ডেস্ক:
৫ই আগস্টের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর থেকে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সনাতনী হিন্দু সম্প্রদায় চরম বিপদের সম্মুখীন হয়েছে। প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন স্থানে হিন্দুদের বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং মন্দিরে হামলা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটছে। ধর্ষণ ও হত্যার শিকার হচ্ছেন সনাতনী নারী ও যোদ্ধারা। ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে বহু সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জোরপূর্বক পদত্যাগে বাধ্য করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে হুমকি, মিথ্যা মামলা ও নিরব চাঁদাবাজির মতো ঘটনা অব্যাহত রয়েছে।
এই সংকটময় সময়ে চট্টগ্রামের সূর্যসন্তান, হিন্দু জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ ব্রহ্মচারী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সনাতনী সম্প্রদায়ের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তাঁর আহ্বানে সাড়া দিয়ে তিন কোটি সনাতনী তাদের অস্তিত্ব রক্ষায় রাজপথে নেমে আসে এবং আট দফা দাবি উত্থাপন করে, যা শাসকগোষ্ঠীকে কাঁপিয়ে তোলে। শাহবাগ, চট্টগ্রাম, রংপুরসহ সারা দেশে লাখো সনাতনী প্রশাসনের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে রাজপথে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে।
এই আন্দোলনের খবর সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। নিউইয়র্ক, লন্ডন, সিডনি, কলকাতাসহ বিভিন্ন স্থানে সনাতনীরা বিক্ষোভে ফেটে পড়ে এবং এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে নিন্দার ঝড় তোলে। ফলে সরকার দেশ-বিদেশে চরম প্রশ্নের সম্মুখীন হয় এবং দিশেহারা হয়ে পড়ে। প্রশাসন ও তাদের সমর্থিত ক্যাডাররা চিন্ময় কৃষ্ণ ব্রহ্মচারীর প্রতিটি বিক্ষোভ সমাবেশে অরাজকতা সৃষ্টি করে। হুমকি, ধমকি ও মৃত্যুভয়কে তুচ্ছ করে তিনি জুলুমকারীদের বিরুদ্ধে এগিয়ে চলেন। রংপুরে লাখো জনতার সামনে তাঁর ইতিহাসসমৃদ্ধ জ্বালাময়ী বক্তব্য সনাতনীদের হৃদয়ে সাড়া জাগায় এবং দেশে থাকার নতুন অনুপ্রেরণা দেয়।
শাসকগোষ্ঠী এই আন্দোলনকে নস্যাৎ করার জন্য বিভিন্নভাবে ক্ষমতা প্রয়োগ করে। খুলনা ও বরিশালে সনাতনী মহাসমাবেশ বন্ধ করে দেয়। নতুন করে চট্টগ্রামে সনাতনীদের ওপর নারকীয় তাণ্ডব শুরু হয়। প্রশাসনের ছত্রছায়ায় চিন্ময় কৃষ্ণ ব্রহ্মচারীসহ অসংখ্য সনাতনীদের ওপর মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয় এবং তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে বলতে চাই, যারা বাংলাদেশের গর্বিত সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে হুমকি দেয়, ক্যান্টনমেন্ট উড়িয়ে দেওয়ার ঘোষণা দেয়, তারা কি রাষ্ট্রদ্রোহী না রাষ্ট্রপ্রেমী? পরিশেষে, অবিলম্বে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে চিন্ময় কৃষ্ণ ব্রহ্মচারীকে আমাদের মাঝে ফিরিয়ে আনার দাবি জানাচ্ছি।
সন্ন্যাসী থাকে কারাগারে, জঙ্গীরা আজ ঘরে ঘরে- এডভোকেট চৈতালি চক্রবর্তী
সুপ্রিম কোর্ট , ঢাকা ।