Logo

আন্তর্জাতিক    >>   যুক্তরাষ্ট্রে ফিরতে গিয়ে ইমিগ্রেশন জেরার মুখে সিটিজেন ও গ্রিনকার্ডধারীরা: এয়ারপোর্টে ব্যাগ, ফোন, ল্যাপটপ তল্লাশি

যুক্তরাষ্ট্রে ফিরতে গিয়ে ইমিগ্রেশন জেরার মুখে সিটিজেন ও গ্রিনকার্ডধারীরা: এয়ারপোর্টে ব্যাগ, ফোন, ল্যাপটপ তল্লাশি

যুক্তরাষ্ট্রে ফিরতে গিয়ে ইমিগ্রেশন জেরার মুখে সিটিজেন ও গ্রিনকার্ডধারীরা: এয়ারপোর্টে ব্যাগ, ফোন, ল্যাপটপ তল্লাশি

প্রজ্ঞা নিউজ ডেস্ক:

যুক্তরাষ্ট্রে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটে ফেরা ন্যাচারালাইজড সিটিজেন, গ্রিনকার্ডধারী এবং পর্যটকরা এয়ারপোর্টে নতুন ধরনের নিরাপত্তা তল্লাশির মুখোমুখি হচ্ছেন। নিউইয়র্ক টাইমস প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে র‌্যান্ডম চেকের আওতায় আনা হচ্ছে বিদেশফেরত যাত্রীদের। এমনকি কানাডা থেকে স্থল বা আকাশপথে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশকারীদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যাত্রীদের আলাদা করে জিজ্ঞাসাবাদ, ব্যাগ তল্লাশি এবং তাদের সাথে থাকা ইলেকট্রনিক ডিভাইস — যেমন সেলফোন ও ল্যাপটপ — পরীক্ষা করা হচ্ছে। যদিও মার্কিন আইন অনুযায়ী নাগরিক এবং গ্রিনকার্ডধারীদের দেশে প্রবেশে বাধা দেওয়া যায় না, তবে সন্দেহজনক কিছু পাওয়া গেলে তাদের দীর্ঘ সময় আটকে রাখা এবং ব্যাকগ্রাউন্ড যাচাই করার বিধান রয়েছে।

সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়নের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, ইউএস বর্ডার প্যাট্রোল কর্মকর্তারা যে কোনো যাত্রীর যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ বাতিলের সিদ্ধান্ত নিতে পারেন, বিশেষ করে টুরিস্ট ভিসায় আগতদের ক্ষেত্রে। তাদের আগমনের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন করা হয় এবং সন্দেহজনক মনে হলে প্রবেশাধিকার বাতিলও করা হচ্ছে।

বিশিষ্ট ইমিগ্রেশন আইনজীবী মাইকেল ওয়াইল্ডস, যিনি এক সময় ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্পের আইনজীবী ছিলেন, বলেন, “বর্তমান প্রশাসন বিমানবন্দরগুলোতে ইমিগ্র্যান্টদের ক্ষেত্রে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অনুসরণ করছে।”

এছাড়া প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, অনেক ক্ষেত্রেই ন্যাচারালাইজড সিটিজেনরাও যদি যথাযথ ট্রাভেল ডকুমেন্ট দেখাতে ব্যর্থ হন, তাহলে তাদের আলাদা করে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। প্রযুক্তি আইন অনুসারে কোনো ব্যক্তির মোবাইল বা ল্যাপটপ তল্লাশির জন্য সাধারণত ওয়ারেন্ট প্রয়োজন হলেও, সীমান্ত নিরাপত্তার যুক্তিতে এসব তল্লাশি কার্যত নির্বিচারে চালানো হচ্ছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই কঠোরতা শুধু নিরাপত্তাজনিত নয়, বরং এটি বিদেশফেরত মার্কিন নাগরিকদের মধ্যেও এক ধরনের ভীতির পরিবেশ তৈরি করছে।