Logo

অপরাধ    >>   ইসরায়েলি পণ্য বর্জনের নামে করা বিক্ষোভ-সমাবেশে হামলা ও লুটপাট বাংলাদেশে, ৪৯ জন গ্রেফতার

ইসরায়েলি পণ্য বর্জনের নামে করা বিক্ষোভ-সমাবেশে হামলা ও লুটপাট বাংলাদেশে, ৪৯ জন গ্রেফতার

ইসরায়েলি পণ্য বর্জনের নামে করা বিক্ষোভ-সমাবেশে হামলা ও লুটপাট বাংলাদেশে, ৪৯ জন গ্রেফতার

Progga News Desk:

গাজায় ইসরায়েলের হামলার প্রতিবাদে সারা বাংলাদেশে বিক্ষোভ-মিছিল বের হয়েছে। বের হওয়া বিক্ষোভ মিছিল থেকে সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে দোকান ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় ৪৯ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) সকালে পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) ইনামুল হক সাগর এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, গতকাল সোমবার সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন শহরে দোকান ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িত ৪৯ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়েছে এবং পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন।

পড়ুন-ইসরায়েলি পণ্য বর্জনের নামে করা বিক্ষোভ-সমাবেশে হামলা ও লুটপাট বাংলাদেশে

তিনি বলেন, গতকাল সোমবার সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন শহরে দোকান ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িত ৪৯ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়েছে এবং পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন।

তিনি আরও বলেন, সরকার কোনো আইনসম্মত প্রতিবাদে বাধা দেয় না। তবে প্রতিবাদের নামে কোনো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড বরদাশত করা হবে না।

এদিকে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম পুলিশের বরাত দিয়ে এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, গাজা সংহতি আন্দোলনের সময় দেশের বিভিন্ন শহরে সহিংসতা ও অবৈধ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৪৯ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিভিন্ন ঘটনায় তদন্ত এখনো চলছে এবং অতিরিক্ত মামলা দায়েরের প্রস্তুতিও চলছে।

পড়ুন-হামলা-ভাঙচুরের ঘটনায় দোষীদের গ্রেফতারের নির্দেশ

বিবৃতিতে বলা হয়, সহিংস ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ। এ হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা জননিরাপত্তা ও আইনের শাসনের প্রতি চরম অবমাননা। এসব ঘটনায় জড়িত দায়ী ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনতে দৃঢ় পদক্ষেপ হিসেবে সোমবার রাতে অভিযুক্তদের ধরতে অভিযান পরিচালনা করেছে পুলিশ। পাশাপাশি, আন্দোলনের সময় ধারণ করা ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে আরও জড়িতদের শনাক্ত করার কাজও চলছে। এই অভিযান চলতে থাকবে যতক্ষণ না সহিংসতা ও ধ্বংসযজ্ঞের সাথে জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনা যায়।

সরকারি বিবৃতিতে তদন্তে সহায়তার জন্য কারও কাছে কোনো তথ্য থাকলে তা পুলিশকে জানানোর জন্য সরকারের পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হয়। সমাজের শান্তি ও স্থিতিশীলতা বিনষ্ট করার অপচেষ্টা যারা করছে, তাদের অবশ্যই জবাবদিহির মুখোমুখি করতে আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।