সাকিব-মাশরাফিকে নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন কোচ সালাউদ্দিন
- By Jamini Roy --
- 18 October, 2024
সাকিব আল হাসানের পরিকল্পনা ছিল দেশের মাটিতে তাঁর শেষ টেস্ট খেলে টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর। নিজের কিছু ভুলের জন্য তিনি জাতির কাছে ক্ষমাও চেয়েছিলেন, মনে করেছিলেন দেশবাসী তাঁকে ক্ষমা করে দেবে। কিন্তু বাস্তবতা হলো, সাকিবের এই আশা পূরণ হয়নি। বরং দেশব্যাপী ছাত্র সমাজের একাংশ তাঁকে ফ্যাসিবাদের সমর্থক হিসেবে দেখছে। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের সামনে দুই দিন ধরে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদী সমাবেশ চলছে। স্টেডিয়ামের দেয়ালে লেখা হচ্ছে সাকিববিরোধী স্লোগান। এমন পরিস্থিতির কারণে ‘অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা’ এড়াতে সাকিবকে দেশে ফেরার পরামর্শ দেওয়া হয়নি। ফলে দেশের এই সেরা ক্রিকেটার তাঁর শেষ টেস্ট খেলার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে পারেননি।
এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাকিবের শৈশবের কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি লিখেছেন, ‘দেশের প্রতি, দেশের মানুষের প্রতি কখনো এতো রাগ বা কষ্ট লাগেনি, আজ কেন যেন লাগছে। আমরা কি কখনো নিজেদের ভুল করি না? কেউ যদি অনুতপ্ত হয়, তবে তাকে একটি সুযোগ দেওয়া উচিত। কিন্তু আমরা কী হয়ে যাচ্ছি মানুষ হিসেবে, আমাদের দয়া-মায়া কোথায় হারিয়ে গেছে?’
সাকিবের দীর্ঘ ১৭ বছরের অবদান তুলে ধরে সালাউদ্দিন আরও বলেন, ‘একজন মানুষ দেশের জন্য ১৭ বছর ধরে কিছু না কিছু করে গেছে। আজ বিশ্ব আমাদের সম্মান করে কাদের জন্য? তারা কি খুনি? রাজনীতি করেছে বলে কি তাদের ক্রিকেট মাঠে নামতে দেওয়া হবে না?’
সালাউদ্দিন তাঁর লেখায় মাশরাফি বিন মর্তুজা ও তামিম ইকবালের নামও উল্লেখ করেছেন। দেশের মানুষের প্রতি তাঁর ক্ষোভ, হতাশা ও কষ্ট ফুটে উঠেছে। তিনি বলেন, ‘তারা ফেসবুকে স্ট্যাটাস না দেওয়ার কারণে আজ শত্রু হয়ে গেছে। মাশরাফি যখন পাঁচবারের অপারেশন শেষে দেশের জন্য লড়াই করছিল, তা কি কেউ দেখেছে? সাকিব আঙুলে চিড় নিয়ে বল করেছে, তামিম এক হাতে ব্যাটিং করেছে—এ সব কাদের জন্য? তারা দেশকে ভালোবাসে, তাদের ভালোবাসা হয়তো দেখা যায় না। আমি তাদের কাছ থেকে দেখেছি। তারা কারও ক্ষতি করেনি, উপকার করেছে। তারা খুনি নয়।’
সালাউদ্দিনের সবচেয়ে বড় আক্ষেপ, দেশের মাটিতে এই নায়কদের বিদায় দেখতে না পারা। তিনি বলেন, ‘খুব কষ্ট পাচ্ছি, মাঠ থেকে এদের বিদায় দেখতে পাব না। মানুষকে ক্ষমা করুন। আল্লাহ আমাদের অপরাধ ক্ষমা করেন। আমরা সবাই কম-বেশি অপরাধী। সম্মান দিলে নিজেও সম্মানিত হবেন।’