১৭ বছর বয়সের আগেই ফুটবল দুনিয়ায় শ্রেষ্ঠত্বের পতাকা ওড়ানো শুরু করেছেন এই কিশোর। গত মৌসুমে রেকর্ড গড়ে অভিষেকের পর থেকে তিনি অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলেছেন। স্পেনের ইউরো জয়েও ইয়ামালের ভূমিকা ছিল উল্লেখযোগ্য, যেখানে তিনি টুর্নামেন্টের সেরা তরুণ খেলোয়াড়ের পুরস্কারও অর্জন করেছেন।
চলতি মৌসুমের শুরু থেকেই ইয়ামাল তার প্রতিভার ঝলক দেখাচ্ছেন। বার্সেলোনার একাধিক ম্যাচ জয়ে তাঁর অবদান অপরিসীম। ইয়ামালের অসাধারণ পারফরম্যান্সের ফলে তাঁর বাজারমূল্যও বেড়েছে। ট্রান্সফার মার্কেটের তথ্য অনুযায়ী, অক্টোবরে ইয়ামালের মূল্য ২৫ শতাংশ বেড়ে ১৫ কোটি ইউরো হয়েছে, যা আগের ১২ কোটি ইউরো থেকে উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি।
স্প্যানিশ ট্রান্সফার মার্কেটের মূল্য সমন্বয়ক তোবাইস ব্লাসেইও বলেন, "লামিনে ইয়ামাল সম্ভাবনার সীমা পুনঃসংজ্ঞায়িত করছে এবং অপ্রতিরোধ্য গতিতে উন্নতি করছে। এই বয়সে খুব কম খেলোয়াড়ই পেশাদার ফুটবলে অভিজ্ঞতা অর্জন করে।" এই দারুণ পারফরম্যান্সের ফলে ইয়ামাল এখন স্পেনের সবচেয়ে দামি খেলোয়াড় হয়ে উঠেছেন।
অন্যদিকে, ১৩ কোটি ইউরো মূল্য নিয়ে ম্যানচেস্টার সিটি মিডফিল্ডার রদ্রিকেও তিনি পেছনে ফেলেছেন। ইয়ামাল শুধু স্পেনের নয়, অনূর্ধ্ব–১৮ খেলোয়াড়দের মধ্যেও সর্বাধিক দামি ফুটবলার।
এ পর্যন্ত ১০০ মিলিয়ন বা ১০ কোটি ইউরোর কোটায় পৌঁছাতে পারেনি কোনও ফুটবলার এই বয়সে। কিলিয়ান এমবাপ্পে এবং গাভির ১৮ বছর বয়সে সর্বাধিক ৯ কোটি ইউরো দাম উঠেছিল, এবং ১৮ বছর বয়সে জুড বেলিংহাম ও পেদ্রি ৮ কোটি ইউরোর মাইলফলক স্পর্শ করেছিলেন। ১৭ বছর বয়সীদের মধ্যে ইয়ামালের পর ২ নম্বরে আছেন আনসু ফাতি, যার দাম ছিল ৮ কোটি ইউরো।
সময়টা এখন লামিনে ইয়ামালের। ইয়ামাল এখন সত্যিই ফুটবল দুনিয়ার উজ্জ্বল নক্ষত্র।