Logo

রাজনীতি    >>   জেলখানার জীবন মারাত্মক শিক্ষার জীবন: আদালতে বললেন পলক

জেলখানার জীবন মারাত্মক শিক্ষার জীবন: আদালতে বললেন পলক

জেলখানার জীবন মারাত্মক শিক্ষার জীবন: আদালতে বললেন পলক

 কৃষ্ণ কুমার শর্মা: আজকের আদালতে সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের জেলখানার অভিজ্ঞতা নিয়ে এক গভীর মন্তব্য সমাজে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। পুলিশ তাকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নিয়ে আসলে, তার পরনে ছিল হেলমেট, হাতকড়া ও বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট। তার মুখে ছিল এক অদ্ভুত গম্ভীরতা, যা তার কথার মাধ্যমে আরও প্রগাঢ় হয়ে উঠেছিল।

পলক আদালতে উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, “চিড়া মুড়ি খাওয়ারও টাকানাই। কারাগারে সুমন ভাইয়ের সঙ্গে রুটি কলা ভাগ করে খাই।” তার এ কথা শোনার পর আদালত প্রাঙ্গণে সবাই কিছুক্ষণের জন্য স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল। এরপর তিনি আরও বলেন, “জেলখানার জীবন মারাত্মক শিক্ষার জীবন। সবার কম করে হলেও সাত দিন জেলে থাকা উচিত।” এটি একটি নতুন দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপন করে, যেখানে কারাগারের জীবন শুধুমাত্র শাস্তি নয়, বরং এটি এক কঠিন শিক্ষা হিসেবে তার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতায় উঠে এসেছে।

তিনি আরও অভিযোগ করেন, “আইনজীবীরা কথা বললে রিমান্ড বেড়ে যায়,” যা বিচারব্যবস্থার প্রতি তার অসন্তুষ্টি প্রকাশ করে। পলকের বক্তব্যে উঠে আসে, যে জেলখানার জীবন শুধু শারীরিক কষ্ট নয়, বরং মানুষের মানসিক ও নৈতিক পরিবর্তনের একটি মাধ্যমও হতে পারে। তার মতে, জীবনের কঠিন পরিস্থিতি একজন মানুষের আত্মবিশ্বাস এবং মানবিক মূল্যবোধে শক্তি যোগায়।

পলকের এই মন্তব্য সমাজের অপরাধী এবং শাস্তি প্রাপ্তদের প্রতি মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি ধারণের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দেয়। তার অভিজ্ঞতার মাধ্যমে তিনি জানান, “শাস্তি, পরিবর্তন এবং শিক্ষা একে অপরের সাথে সম্পর্কিত হতে পারে”—এটি সমাজের পুনঃপ্রবেশ ও পুণর্বাসনের ক্ষেত্রে নতুন ভাবনা এনে দেয়।

পলক সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, “আমাদের নিয়ে লেখার সময় আপনারা একটু সদয় হবেন,” যা সংবাদমাধ্যমের প্রতি মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণের আহ্বান। তার এ বক্তব্যে সমাজের প্রতি এক প্রগাঢ় চিন্তা উঠে আসে, যে শাস্তি প্রাপ্তদের প্রতি আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি আরও সহানুভূতিশীল হওয়া উচিত, যেন তারা তাদের জীবন নতুন করে সাজাতে পারে।

এই ঘটনার মাধ্যমে আমরা শেখার মতো কিছু গুরুত্বপূর্ণ পাঠ পেয়েছি: সত্যিকার শিক্ষা কেবল বইয়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে পাওয়া অভিজ্ঞতা থেকেও পাওয়া যায়। জীবনের কঠিন পরিস্থিতিতে দৃঢ় মনোবল এবং সহানুভূতি বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ।