রুখে দাঁড়াও বাংলাদেশ: বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর ধ্বংসের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সভা
- By N/A --
- 06 February, 2025
৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, বুধবার, নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসের জনপ্রিয় স্থান ডাইভার সিটি প্লাজায় সন্ধ্যা ৬টায় মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার চেতনাকে রক্ষা করার লক্ষ্যে একটি জরুরি প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই সভাটি “মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ” নামক একটি নতুন সংগঠনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় এবং এর প্রধান উদ্দেশ্য ছিলো ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর ধ্বংসসহ বাঙালি চেতনা ও মুক্তিযুদ্ধের স্থাপনায় আঘাতের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো।
প্রতিবাদ সভায় সভাপতিত্ব করেন সৈয়দ মোহাম্মদ উল্লাহ, এবং সভার সঞ্চালনা করেন মুজাহিদ আনসারি। এসময় বক্তৃতা রাখেন সুব্রত বিশ্বাস, আলী হাসান কিবরিয়া অনু, জাকির হোসেন বাচ্চু, সৈয়দ জাকির আহমদ রনি, ওবায়দুল্লাহ মামুন এবং আল আমিন বাবু। অনুষ্ঠানটি সমন্বয় করেন সনজীবন কুমার ও মুজাহিদ আনসারি।
বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের ধ্বংস: এক জাতির অপমান
সভায় বক্তারা অত্যন্ত ক্ষোভ প্রকাশ করেন বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর ভাঙচুরের ঘটনায়, যা কেবল একটি ঐতিহাসিক স্থান নয় বরং বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার চেতনাকে সংরক্ষণের প্রতীক। বক্তারা উল্লেখ করেন, এটি একটি সুস্পষ্ট চক্রান্ত, যেখানে স্বাধীনতা বিরোধী চক্র এবং উগ্র মৌলবাদীরা একাত্তরের পরাজিত শক্তির প্রতিশোধ নিতে একযোগভাবে কাজ করছে।
একাত্তরের পরাজিত শক্তির প্রতিশোধ
তারা আরও বলেন, ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি সংরক্ষণের জন্য প্রতিষ্ঠিত ঐতিহাসিক ভবন ধ্বংসের মাধ্যমে মৌলবাদী শক্তি পাকিস্তানের ভাবধারাকে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করছে। স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাসকে ধ্বংস করে জাতির মনোবল ভেঙে ফেলতে এই ধরনের ন্যক্কারজনক কাজ করা হচ্ছে।
রাষ্ট্রীয় মদদে অপরাধের প্রতিকার দাবি
এছাড়া বক্তারা দাবি করেন, সরকারের পক্ষ থেকে এই ধরনের গর্হিত অপরাধের বিরুদ্ধে শক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত। রাষ্ট্রীয় মদদে এমন অপরাধের যে ঘটনা ঘটছে, তা জাতির জন্য অশনি সংকেত। বক্তারা প্রশ্ন করেন, এই দেশকে কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে? যেখানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে দেশ স্বাধীন হয়েছিল, সেখানে আজ সেই ইতিহাসকে মুছে ফেলার ষড়যন্ত্র চলছে।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবাদ
এছাড়া, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ যুক্তরাষ্ট্রও একযোগভাবে এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছে। তাদের পক্ষ থেকে এই ধরণের ইতিহাসের বিকৃতির বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে এবং দেশপ্রেমের মনোভাব নিয়ে এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে আহ্বান জানানো হয়েছে।
এটি স্পষ্ট যে, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস ও বাঙালি চেতনার ওপর আঘাত হানতে কিছু দেশদ্রোহী শক্তি চেষ্টা চালাচ্ছে। এতে জাতির ঐক্য আরও দৃঢ় করার জন্য সকলকে একসাথে রুখে দাঁড়ানোর প্রয়োজন।

















