আওয়ামী লীগের মিথ্যা তথ্যে বাজার নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার: প্রেস সচিব
- By Jamini Roy --
- 19 January, 2025
আওয়ামী লীগ সরকারের মিথ্যা তথ্যের কারণে দেশের বাজার নিয়ন্ত্রণে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। রবিবার (১৯ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীতে কৃষি সাংবাদিকতা বিষয়ক প্রশিক্ষণ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এই মন্তব্য করেন।
প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, "আওয়ামী লীগ সরকার গত এক দশক ধরে জনগণকে ভুল তথ্য দিয়ে এসেছে। তাদের দাবি ছিল, দেশে উৎপাদন বেড়েছে। কিন্তু বাস্তবে তা ঘটেনি। যার ফলেই আজ অন্তর্বর্তী সরকার বাজার নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছে।"
আলুর দাম বৃদ্ধির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "আলুর উৎপাদন কম হওয়ায় বাজারে সরবরাহ ঘাটতি দেখা দিয়েছে। যদিও বিগত সরকার আলুর বাম্পার ফলনের ভুয়া দাবি করেছে।"
তিনি আরও যোগ করেন, "বাজারে সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণে সরকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে। তবে মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতে তৈরি পূর্ববর্তী নীতিগুলো এখন বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।"
শেখ মুজিবুর রহমানের নীতির সমালোচনা করে শফিকুল আলম বলেন, "১৯৭৪ সালে শেখ মুজিবের জুট চুক্তি ছিল আত্মঘাতী। এর ফলে দেশের খাদ্য সংকট তৈরি হয় এবং প্রায় ১০ লাখ মানুষ অনাহারে মারা যায়। মিথ্যা তথ্য ও দুর্বল সিদ্ধান্তের প্রভাব কেমন হতে পারে, তা এর বড় উদাহরণ।"
প্রেস সচিব আরও জানান, ২০২৫ সালের বাজেট হবে জনবান্ধব। তিনি বলেন, "যৌক্তিকতা বিবেচনা করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সরকারি চাকরিজীবীদের মহার্ঘ্য ভাতা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই ভাতা কর্মীদের ক্রয়ক্ষমতা বাড়াতে এবং তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে সাহায্য করবে।"
নির্বাচন এবং সংস্কার ইস্যুতে শফিকুল আলম বলেন, "রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে সংস্কার কমিশনের রিপোর্ট চূড়ান্ত করা হবে। রাজনৈতিক দলগুলো কী পরিমাণ সংস্কার চায়, তার ভিত্তিতে নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করা হবে।"
তিনি আরও বলেন, "সরকার চায় নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হোক। এজন্য সব দলের মতামত নিয়ে কাজ চলছে।"
আওয়ামী লীগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "আওয়ামী লীগের যেসব নেতার হাতে রক্ত আছে, তাদের বিচার হবে। কিন্তু দলটি নিষিদ্ধ করার কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই। এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে রাজনৈতিক দলগুলো।"
শফিকুল আলম আরও বলেন, "আওয়ামী লীগের অনেক নেতার মধ্যে এখনও কোনো অনুশোচনা দেখা যায় না। তাদের আচরণে পরিবর্তন না এলে ভবিষ্যতে দলটি আরও চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে।"
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার বাজার নিয়ন্ত্রণ, নির্বাচন, সংস্কার এবং জনগণের চাহিদা পূরণে কাজ করছে। তবে বিগত সরকারের ভুল নীতি ও মিথ্যা তথ্যের প্রভাব মোকাবিলা করতে গিয়ে তারা বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে।