Logo

আন্তর্জাতিক    >>   গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে নেতানিয়াহুর হুঁশিয়ারি: যুদ্ধে ফিরবে ইসরাইল

গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে নেতানিয়াহুর হুঁশিয়ারি: যুদ্ধে ফিরবে ইসরাইল

গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে নেতানিয়াহুর হুঁশিয়ারি: যুদ্ধে ফিরবে ইসরাইল

গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার আগেই ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু আবারও হামলার হুঁশিয়ারি দিয়ে উদ্বেগ বাড়িয়েছেন। স্থানীয় সময় রবিবার (১৯ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৮টায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার কথা থাকলেও, শনিবার রাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে নেতানিয়াহু জানান, যুদ্ধবিরতি স্বল্পস্থায়ী এবং প্রয়োজনে ইসরাইল যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ণ সমর্থনে পুনরায় আগ্রাসী রূপে ফিরে আসবে।

যুদ্ধবিরতিকে নিজের কূটনৈতিক জয় হিসেবে উল্লেখ করে নেতানিয়াহু বলেন, "আমাদের প্রতিরোধ ব্যবস্থা অত্যন্ত শক্তিশালী। ইরান-সমর্থিত হিজবুল্লাহ ও হামাস নেতাদের নির্মূল করার মাধ্যমে আমরা গাজার প্রতিরোধকে দুর্বল করেছি। এজন্যই হামাস যুদ্ধবিরতির শর্তে সম্মত হয়েছে।"

তিনি আরও বলেন, "যুদ্ধবিরতির প্রক্রিয়ায় বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।" তবে নেতানিয়াহু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করে বলেন, "যদি বন্দিদের তালিকা দেওয়া না হয়, তবে ইসরাইল যুদ্ধবিরতি কার্যকর করবে না।"

নেতানিয়াহুর মন্ত্রিসভায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে বিভক্তি দেখা দিয়েছে। ইসরাইলের নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন-গভির এই চুক্তির প্রতিবাদে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেছেন। অন্যদিকে, ইসরাইলের এক সাবেক কূটনীতিক জানান, নেতানিয়াহুর মন্ত্রিসভার অনেকেই যুদ্ধবিরতি ব্যর্থ হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন।

যুদ্ধবিরতির চুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছে ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহও এই চুক্তিকে ফিলিস্তিনিদের বিজয় হিসেবে দেখছে। হিজবুল্লাহর প্রধান নাঈম কাসেম বলেন, "২০২৪ সালে প্রস্তাবিত এই চুক্তি ইসরাইলের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলোর অটল সংগ্রামের প্রমাণ। তারা যা চেয়েছে, তা-ই অর্জন করেছে। অন্যদিকে, ইসরাইল তাদের লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে।"

যুদ্ধবিরতির ঘোষণায় কিছুটা স্বস্তি পেলেও ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর বক্তব্যে গাজার সাধারণ মানুষের উদ্বেগ নতুন করে বেড়েছে। দীর্ঘদিনের যুদ্ধ ও আগ্রাসনের ফলে গাজার সাধারণ মানুষ চরম দুর্ভোগে দিন কাটাচ্ছে। যুদ্ধবিরতির ঘোষণায় তারা শান্তির আশা করলেও নেতানিয়াহুর হুঁশিয়ারি সেই আশা আরও অনিশ্চিত করে তুলেছে।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, নেতানিয়াহুর বক্তব্য কেবল রাজনৈতিক চাপ সামলানোর জন্য নয়, বরং ভবিষ্যতে আরও বড় সংঘাতের প্রস্তুতির ইঙ্গিত। যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ণ সমর্থনে ইসরাইল যে কোনো সময় আবার গাজায় আগ্রাসী হয়ে উঠতে পারে।

গাজা যুদ্ধবিরতির ভবিষ্যৎ এখনো অনিশ্চিত। যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে কিনা বা কতদিন টিকে থাকবে, তা নির্ভর করছে উভয় পক্ষের অবস্থান ও আন্তর্জাতিক চাপের ওপর।





P.S 220 Winter concert

P.S 220 Winter concert