Logo

রাজনীতি    >>   নতুন করে আরও ৮০ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে ঢুকেছে

নতুন করে আরও ৮০ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে ঢুকেছে

নতুন করে আরও ৮০ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে ঢুকেছে

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সাম্প্রতিক সহিংসতার কারণে নতুন করে ৮০ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। গতকাল বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) মিশরের রাজধানী কায়রোতে মালয়েশিয়ার উচ্চশিক্ষামন্ত্রী ড. জাম্বরি আব্দুল কাদিরের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এই তথ্য প্রকাশ করেন।

রাখাইন থেকে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের জন্য জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে একটি নিরাপদ অঞ্চল প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেন ড. ইউনূস। তিনি বলেন, এটি রাখাইনের মানুষদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি সংকট নিরসনে একটি কার্যকর পদক্ষেপ হবে।

রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনের প্রস্তাব দিয়েছেন ড. ইউনূস। তার মতে, এই উদ্যোগে মালয়েশিয়ার সক্রিয় অংশগ্রহণ প্রয়োজন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকার ২০২৬ সালের প্রথমার্ধে একটি জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের পরিকল্পনা করছে এবং এই সময়ের মধ্যে সংকট সমাধানে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সম্ভব।

বৈঠকে মালয়েশিয়ার উচ্চশিক্ষামন্ত্রী ড. জাম্বরি আব্দুল কাদির বলেন, "আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক স্থাপনের অপেক্ষায় রয়েছি।" এই বৈঠকে তারা দুই দেশের পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। আলোচনার বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত ছিল:

১. মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি শ্রমিকদের নিয়োগ বৃদ্ধি।

২. উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে সহযোগিতা সম্প্রসারণ।

৩. রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে যৌথ উদ্যোগ।

৪. আসিয়ানে বাংলাদেশের যোগদানের সম্ভাবনা।

ড. ইউনূস আজ (১৯ ডিসেম্বর) কায়রোর আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ প্রদান করবেন। এছাড়া ডি-৮ সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্য দেবেন তিনি। শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে তিনি ডি-৮ সদস্য রাষ্ট্রগুলোর কয়েকজন সরকারপ্রধানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন।

মিশরে পৌঁছার পর তিনি দেশটির পাবলিক বিজনেস সেক্টরের মন্ত্রী মোহাম্মদ শিমির সঙ্গে একটি সংক্ষিপ্ত বৈঠক করেন। সেখানে দুদেশের ব্যবসায়িক সম্পর্ক ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হয়।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ড. ইউনূসের উদ্যোগ এবং প্রস্তাবিত সম্মেলন রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে পারে। তবে এই সংকট সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সক্রিয় অংশগ্রহণ জরুরি।