ডি-৮ সম্মেলনে যোগ দিতে কায়রোর পথে প্রধান উপদেষ্টা
- By Jamini Roy --
- 18 December, 2024
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে মিশরের রাজধানী কায়রোর উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন। মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১টা ২০ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাকে বহনকারী একটি ফ্লাইট মিশরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে।
কায়রোতে অনুষ্ঠিতব্য ১১তম ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে "ইনভেস্টিং ইন ইয়ুথ অ্যান্ড সাপোর্টিং স্মল মিডিয়াম এন্টারপ্রাইজ, শেপিং টুমরো’স ইকোনমি"। এবারের সম্মেলনে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর অর্থনৈতিক উন্নয়ন, তরুণ প্রজন্মের বিনিয়োগ, এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগ (এসএমই) ক্ষেত্রে সহযোগিতার নতুন দিগন্ত উন্মোচনের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
ডি-৮ এর বর্তমান সদস্য দেশগুলো হলো বাংলাদেশ, মিশর, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, মালয়েশিয়া, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান এবং তুরস্ক। ১৯৯৭ সালের ১৫ জুন ইস্তাম্বুল ঘোষণার মাধ্যমে এই সংস্থার যাত্রা শুরু হয়। এর লক্ষ্য হলো সদস্য দেশগুলোর অর্থনৈতিক অবস্থান উন্নত করা, বাণিজ্য সম্প্রসারণ এবং জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধি।
মঙ্গলবার বিকেলে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে অনুষ্ঠিত এক ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেন, "ডি-৮ সম্মেলন বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের তরুণ প্রজন্ম ও এসএমই খাতের উন্নয়ন নিয়ে বৈশ্বিক পর্যায়ে কাজ করার লক্ষ্যে প্রধান উপদেষ্টা এই সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন।"
তিনি আরও বলেন, "বাংলাদেশ ছাড়াও ইন্দোনেশিয়া, তুরস্ক, পাকিস্তান এবং মালয়েশিয়ার উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিরা এই সম্মেলনে অংশগ্রহণ করবেন। মিশর ও নাইজেরিয়ার শীর্ষ কর্মকর্তারাও এতে উপস্থিত থাকবেন।"
ডি-৮ সংস্থা মূলত অর্থনৈতিক সহযোগিতার মাধ্যমে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর অবস্থান উন্নত করার জন্য কাজ করে। এবারের সম্মেলনে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগ (এসএমই) উন্নয়নে বাংলাদেশ কিভাবে সদস্য দেশগুলোর সঙ্গে সহযোগিতা বাড়াতে পারে, সেই বিষয়গুলো আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবে। এছাড়া তরুণদের দক্ষতা উন্নয়নে বিনিয়োগ এবং আন্তর্জাতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ বৃদ্ধির বিষয়েও আলোকপাত করা হবে।
ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিয়ে বাংলাদেশের তরুণদের দক্ষতা বৃদ্ধি এবং এসএমই খাতে নতুন সুযোগ তৈরিতে ভূমিকা রাখার অঙ্গীকার করেছেন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি আশা প্রকাশ করেছেন, এই সম্মেলন বাংলাদেশকে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে আরও শক্তিশালী অবস্থানে নিয়ে যাবে।