Logo

অপরাধ    >>   আবার চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের আগাম জামিন শুনানির জন্য আবেদন

আবার চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের আগাম জামিন শুনানির জন্য আবেদন

আবার চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের আগাম জামিন শুনানির জন্য আবেদন

আজ বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর), আবার চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন শুনানি এগিয়ে আনতে এক আইনজীবী আবেদন করেছে। আজ আদালত আবেদনটি আমলে নিয়েছেন। ঢাকা থেকে যে আইনজীবীরা এসেছেন তারা যেহেতু সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সেহেতু তাদের ওকালতনামা ঢাকা সুপ্রিম কোর্টের ওকালতনামা চট্টগ্রামের না। তাই আবেদনটি গ্রহণ করে আদালত তাদের বলেছেন স্থানীয় আইনজীবীদের মাধ্যমে একটি ওকালতনামা নিলেই আগাম যে জামিন শুনানির আবেদন তার পেক্ষিতে আদালত শুনানি করবে।এখন চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের আইনজীবীরা তাদের স্থানীয় ওকালতনামা নেয়ার চেষ্টা করছেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা বলছেন তারা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের আইনজীবীদের সব ধরনের সহযোগিতা করবেন।চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের আইনজীবী রবীন্দ্র ঘোষ জানান অন্য আইনজীবীরা তাদের সাহায্য করছেন এবং তিনি আশাবাদী তারা ন্যায় বিচার পাবেন। এবং তিনি চট্টগ্রাম আদালতের আইনজীবী হত্যার ঘটনার নিন্দা জানিয়ে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে হত্যা কাণ্ডে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন। এর আগে গতকাল বুধবার (১১ ডিসেম্বর), চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন শুনানি এগিয়ে আনতে এক আইনজীবী আবেদন করেছিলেন। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট রবীন্দ্র ঘোষ চট্টগ্রামে গিয়ে এ আবেদন করেছিলেন। তবে এই শুনানিতে চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির কেউ উপস্থিত ছিলেন না। 

গত ৩ ডিসেম্বর চিন্ময় দাসের জামিন আবেদন শুনানির দিন ধার্য ছিল। কিন্তু ওইদিন তার পক্ষে কোনো আইনজীবী আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। এ অবস্থায় রাষ্ট্রপক্ষ শুনানির জন্য সময়ের আবেদন করে। পরবর্তী পরিপ্রেক্ষিতে আদালত জামিন শুনানির জন্য ২০২৫ সালের ২ জানুয়ারি ধার্য করেন।

গতকাল (বুধবার) ঢাকায় থেকে আসা আসামির পক্ষে এক আইনজীবী জামিন শুনানির তারিখ এগিয়ে আনার জন্য আবেদন করেছিলেন। তবে আবেদনপত্রে আসামিপক্ষের লিখিত ওকালতনামা নেই এবং ফাইলিং আইনজীবীর লিখিত অনুমতিও ছিল না। তাই মহানগর দায়রা জজ আদালত এই আবেদনটি নট মেইন্টেইনেবল বা নামঞ্জুর করেছিলেন। ফলে ২ জানুয়ারি চিন্ময়ের জামিন শুনানি অনুষ্ঠিত হবে বলে আইনজীবীরা নিশ্চিত করেছিল। 

গতকাল আবেদনে আইনজীবী রবীন্দ্র ঘোষ উল্লেখ করেন, অভিযুক্ত চিন্ময় দাস একজন সন্ন্যাসী। তিনি সনাতনীদের পবিত্র তীর্ঘপীঠ শ্রী শ্রী পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ এবং বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের একজন প্রধান মুখপাত্র। মামলায় চিন্ময়ের বিরুদ্ধে বাদীর অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা, বিভ্রান্তিকর এবং বানোয়াট। তাছাড়া চিন্ময় দাস দীর্ঘমেয়াদি পাকস্থলী, কার্ডিওভাসকুলার, ডায়াবেটিস এবং শ্বাসকষ্টজনিত রোগে আক্রান্ত। তার পক্ষে নিয়োজিত আইনজীবীকে বিভিন্ন মাধ্যমে হুমকি দেওয়া হয়েছে যাতে তিনি এ মামলার শুনানি না করেন। তাই শুনানিতে চিন্ময়ের আইনজীবী আদালতে উপস্থিত হতে পারেননি। এটি সম্পূর্ণভাবে ন্যায়বিচার বহির্ভূত।

চিন্ময়ের পক্ষে আইনজীবী নিরাপত্তাজনিত কারণে মামলার জামিন শুনানির তারিখে আদালতে উপস্থিত হতে পারেননি। ন্যায়বিচারের স্বার্থে এই ফৌজদারি মামলার তারিখ অগ্রবর্তী পূর্বক শুনানি করা অত্যন্ত জরুরি। অন্যথায় অভিযুক্ত ব্যক্তি ন্যায়বিচার থেকে সম্পূর্ণভাবে বঞ্চিত হবেন।

এর আগে গত ২৫ নভেম্বর বিকেলে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে যাওয়ার সময় শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন কোতোয়ালি থানায় দায়ের হওয়া রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় তাকে আদালতে হাজির করা হয়। আদালত জামিন আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। চিন্ময়কে বহনকারী প্রিজন ভ্যান আটকে দিয়ে তার অনুসারীরা বিক্ষোভে অংশ নেয়। এ সময় সংঘর্ষে সাইফুল ইসলাম আলিফ নামের এক আইনজীবী নিহত হন। এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা ও আরও পাঁচটি মামলা দায়ের করা হয়।