সিরিয়ার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী হলেন মোহাম্মদ আল-বশির
- By Jamini Roy --
- 11 December, 2024
সিরিয়ার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন মোহাম্মদ আল-বশির। ২০২৫ সালের ১ মার্চ পর্যন্ত তিনি এই দায়িত্বে থাকবেন। গতকাল মঙ্গলবার এক টেলিভিশন ভাষণে এ ঘোষণা দেন তিনি। বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত ইদলিব প্রদেশে অবস্থানরত ‘সিরিয়ান স্যালভেশন গভর্নমেন্ট’ (এসএসজি)-এর প্রধান হিসেবে আল-বশির ইতোমধ্যেই সুপরিচিত।
মোহাম্মদ আল-বশির ১৯৮৩ সালে সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় ইদলিব প্রদেশে জন্মগ্রহণ করেন। ছোটবেলা থেকেই তিনি মেধাবী ও পরিশ্রমী ছিলেন।
আল-বশির প্রকৌশল, আইন এবং ইসলামি আইন বিষয়ে ডিগ্রি অর্জন করেছেন। বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী এই নেতা ইংরেজি ভাষায় দক্ষ এবং সিরিয়ান গ্যাস কোম্পানিতে কাজ করার মাধ্যমে তার পেশাগত জীবনের সূচনা করেন।
২০২২ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত মোহাম্মদ আল-বশির এসএসজি-র মানবিক ও উন্নয়নবিষয়ক মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। চলতি বছরের জানুয়ারিতে তিনি এসএসজি-র প্রধান হিসেবে নিযুক্ত হন। বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত ইদলিব অঞ্চলে নেতৃত্বের শীর্ষস্থানে তার এই যাত্রা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমানে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে তিনি সিরিয়ার জনগণের জন্য নতুন দিশা দেখানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
ইদলিব প্রদেশে হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) বিদ্রোহীদের নেতৃত্বে সিরিয়ান স্যালভেশন গভর্নমেন্ট গঠন করা হয়। নতুন সরকারের অধীনে স্থানীয়রা স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের আশায় রয়েছে।
ইদলিবে বসবাসকারী এক ব্যক্তি আল-জাজিরাকে বলেন, "আমি এখানে খুব ভালো আছি। স্যালভেশন গভর্নমেন্ট ভালো কাজ করছে। নতুন নেতৃত্বে নিরাপত্তা ফিরে এসেছে।"
তুরস্ক থেকে ফিরে আসা শরণার্থীদের মধ্যে অনেকেই ইদলিবের উন্নয়ন ও নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে সন্তুষ্ট। মুহাম্মদ আলী নামের এক ব্যক্তি জানান, "দুই বছর আগে আমি তুরস্ক থেকে ফিরে এসেছি। আগে কাজ খুঁজে পাওয়া ছিল খুবই কঠিন। তবে এখন পরিস্থিতি অনেক উন্নত।"
মোহাম্মদ আল-বশির তার প্রথম ভাষণে জানান, সিরিয়াকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য নতুন ও পুরাতন প্রশাসনের কর্মকর্তাদের মধ্যে আলোচনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তার শাসনামলে স্থিতিশীলতা, শান্তি ও উন্নয়ন নিশ্চিত করার জন্য কাজ করবেন বলে তিনি আশ্বাস দেন।
মোহাম্মদ আল-বশিরের নেতৃত্বে ইদলিবে নতুন সরকারের কার্যক্রম ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে। স্থিতিশীল পরিস্থিতি ও উন্নয়নের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আসার প্রত্যাশা করা হচ্ছে।