সুদানে সেনা-আধা সামরিক সংঘর্ষে নিহত ১২৭
- By Jamini Roy --
- 11 December, 2024
সুদানে সেনাবাহিনী ও আধা সামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) মধ্যে সংঘর্ষ অব্যাহত রয়েছে। গত সোমবার এবং মঙ্গলবার (৯ ও ১০ ডিসেম্বর) দেশটির বিভিন্ন প্রদেশে পাল্টাপাল্টি বিমান হামলায় কমপক্ষে ১২৭ জন প্রাণ হারিয়েছেন। হতাহতদের মধ্যে বেশিরভাগই নারী ও শিশু।
মঙ্গলবার খার্তুম প্রদেশের সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণাধীন ওমদুরমান সেক্টরে আরএসএফ হামলা চালায়। এই হামলায় বহু বেসামরিক লোক হতাহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে গণতন্ত্রপন্থি আইনজীবীদের সংগঠন ইমারজেন্সি লইয়ারস রাইটস গ্রুপ। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, হামলায় যেসব লোক প্রাণ হারিয়েছেন তাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।
এর আগে, সোমবার নর্থ দারফুর প্রদেশের কাবাকিয়া শহরে সেনাবাহিনীর পরিচালিত একটি বিমান হামলায় অন্তত ১০০ জন নিহত হন। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শহরটি সপ্তাহের একটি বাণিজ্যিক দিন হওয়ায় আশপাশের গ্রাম থেকে অনেকে কেনাকাটার জন্য সেখানে উপস্থিত হয়েছিলেন। বিমান হামলার সময় সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত হয়ে দিগ্বিদিক ছোটাছুটি করেন। এতে আরও বহু মানুষ আহত হয়েছেন।
সুদানে সেনাবাহিনী ও র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সের মধ্যে এই সংঘর্ষ চলছে গত ২০ মাস ধরে। এই সংঘাতের মূল কারণ হলো উভয় পক্ষের মধ্যে ক্ষমতার লড়াই। প্রায় প্রতিদিনই সংঘর্ষে প্রাণ হারাচ্ছেন সাধারণ মানুষ।
মানবাধিকার সংগঠনগুলো এই সংঘর্ষকে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন হিসেবে বর্ণনা করছে। ইমারজেন্সি লইয়ারস রাইটস গ্রুপ জানিয়েছে, এই সংঘর্ষে নারী ও শিশুদের মতো নিরীহ জনগোষ্ঠী সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
সুদানের চলমান সংঘর্ষে বেসামরিক লোকজনের জীবন বিপন্ন হয়ে পড়েছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় থেকে সহিংসতা বন্ধে আহ্বান জানানো হলেও সংঘর্ষ থামার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।
জাতিসংঘ এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থা সুদানে ত্রাণ সহায়তা প্রদানের চেষ্টা করছে। তবে সংঘাত চলমান থাকায় এসব প্রচেষ্টায় বাধা সৃষ্টি হচ্ছে।
সুদানের এই রাজনৈতিক ও সামরিক সংকট কেবল দেশটির জন্য নয়, পুরো অঞ্চলের স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি সৃষ্টি করেছে। সাধারণ মানুষের জীবন রক্ষায় এবং সহিংসতা বন্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আরও কার্যকর উদ্যোগ প্রয়োজন।