এবি পার্টির প্রথম জাতীয় কাউন্সিল: চেয়ারম্যান পদে ৫ প্রার্থী
- By Jamini Roy --
- 11 December, 2024
বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন সংযোজন হিসেবে আত্মপ্রকাশকারী আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি) তাদের প্রথম জাতীয় কাউন্সিলের আয়োজন করতে যাচ্ছে। এই উপলক্ষে দলের চেয়ারম্যান পদে ৫ জন এবং জাতীয় নির্বাহী পরিষদের ২১টি সদস্যপদের জন্য ৬১ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) দলের অভ্যন্তরীণ নির্বাচন পরিচালনা কমিশন যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে। নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. ওয়ারেসুল করিমের নেতৃত্বে এই কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
দলের চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ৫ জন নেতা। তারা হলেন:
- বর্তমান আহ্বায়ক প্রফেসর ডা. মেজর (অব.) আব্দুল ওহাব মিনার
- সাবেক আহ্বায়ক এএফএম সোলায়মান চৌধুরী
- বর্তমান যুগ্ম আহ্বায়ক লে. কর্নেল (অব.) দিদারুল আলম
- বর্তমান সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু
- যুগ্ম সদস্যসচিব ব্যারিস্টার যোবায়ের আহমেদ ভুইয়া
এ ছাড়া জাতীয় নির্বাহী পরিষদের ২১টি সদস্যপদের জন্য মোট ৬১ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। একটি আপত্তি উত্থাপন হওয়ায় সেই প্রার্থীর মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে বৈধ বলে ঘোষণা করা হয়েছে।
তফসিল অনুযায়ী, চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ছিল ৯ ডিসেম্বর। আপত্তি দাখিলের শেষ দিন ১১ ডিসেম্বর এবং শুনানি ও প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১২ ডিসেম্বর। দলের প্রথম জাতীয় কাউন্সিল ২৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে।
এবি পার্টি ২০২০ সালের ২ মে একটি নতুন রাজনৈতিক দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। সাড়ে তিন বছরের মাথায়, ১৯ আগস্ট ২০২৪ সালে দলটি নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন লাভ করে। এবারের কাউন্সিল প্রথমবারের মতো দলের প্রস্তাবিত গঠনতন্ত্র অনুসারে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এতদিন ২২২ সদস্য বিশিষ্ট কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির মাধ্যমে দলটি পরিচালিত হয়ে আসছিল।
দলের নেতারা এবারের কাউন্সিলকে গণতান্ত্রিক চর্চার এক নতুন মাইলফলক হিসেবে দেখছেন। চেয়ারম্যান পদে ৫ জনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা এবং জাতীয় নির্বাহী পরিষদে ২১টি সদস্যপদের জন্য ৬১ জন প্রার্থীর অংশগ্রহণকে তারা দলের অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্রের প্রতীক বলে মনে করছেন।
এবি পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ বিভাগ ও জেলা পর্যায়ে কর্মব্যস্ত সময় পার করছেন নেতাকর্মীরা। তারা আশা করছেন, এবারের কাউন্সিল হবে উৎসবমুখর এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ। দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা জানান, এ ধরনের গণতান্ত্রিক আয়োজনের মাধ্যমে দলটি জনগণের আস্থা অর্জনে সক্ষম হবে।