রিজভী: মমতা ব্যানার্জি ধর্মনিরপেক্ষতার আড়ালে হিন্দুত্ববাদী
- By Jamini Roy --
- 04 December, 2024
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এর জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বললেও আসলে তিনি একজন কট্টর হিন্দুত্ববাদী। তিনি বলেন, মমতার ধর্মনিরপেক্ষতা শুধুমাত্র বক্তৃতার স্তরে সীমাবদ্ধ এবং তার মনের মধ্যে গভীর কট্টরপন্থি হিন্দুত্ববাদ রয়েছে।
এদিন (৪ ডিসেম্বর) বাংলাদেশের পূজা উদ্যাপন ফ্রন্ট আগরতলা বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলার প্রতিবাদে প্রেসক্লাব থেকে পল্টন পর্যন্ত মিছিল এবং সমাবেশের আয়োজন করে। এই সমাবেশে বক্তৃতা দিতে গিয়ে রিজভী এসব মন্তব্য করেন।
রিজভী বলেন, ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) গোঁড়া হিন্দুত্ববাদী রাজনীতি করেই ক্ষমতায় এসেছে এবং তাদের ক্ষমতায় টিকে থাকার একমাত্র উপায় হচ্ছে হিংসা ও বিদ্বেষ ছড়িয়ে দেওয়া। "বিজেপি দেশটিতে বিদ্বেষের নীতি চালু করে রাজনীতি করতে চায়," মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, বিজেপি এবং ভারতের মিডিয়া বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পতন মেনে নিতে না পেরে দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। তিনি উল্লেখ করেন, "বাংলাদেশের জনগণ শেখ হাসিনার লুটের ২৮ লাখ কোটি টাকার হিসাব করতে চায় এবং ভারতীয় মিডিয়ার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে দাবি জানাবে।"
রিজভী আরও বলেন, ভারত যদি তাদের সম্প্রসারণবাদী মনোভাব অব্যাহত রাখে এবং পার্শ্ববর্তী দেশগুলোকে দখল করার চিন্তা করে, তবে তারা "বোকার স্বর্গে বাস করছে"। তিনি বলেন, "হিন্দু-মুসলমান সবাই মিলে দিল্লির দাসত্ব খান খান করে দেব," বলে তিনি ভারতের সাম্প্রদায়িক শাসকদের সমালোচনা করেন।
বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশন ভবনে হামলার ঘটনায় রিজভী ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, "আগরতলায় হামলা বাংলাদেশের জন্য বড় আঘাত। বাংলাদেশ এই হামলা কখনোই ভুলে যাবে না।" এসময় তিনি ভারতীয় মিডিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর মন্তব্য করেন, বলেন, "ভারতীয় মিডিয়া মোদির প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছে এবং শেখ হাসিনার পতনকে মেনে নিতে পারছে না।"
রিজভী বলেন, বাংলাদেশ এবং ভারতের সাধারণ জনগণের মধ্যে কোনো শত্রুতা নেই। তবে, উগ্রবাদী বিজেপি যদি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করতে চায়, তবে বাংলাদেশে প্রতিটি দেশপ্রেমিক মানুষ তাদের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব এবং আত্মমর্যাদা রক্ষায় রুখে দাঁড়াবে। তিনি দৃঢ়ভাবে বলেন, "দুর্জয় এই বাংলাদেশ কখনোই মাথা নোয়াবে না।"
এই বক্তৃতায় রিজভী ভারতীয় সম্প্রসারণবাদ এবং উগ্র হিন্দুত্ববাদী রাজনৈতিক ধারার বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনা করেছেন এবং বাংলাদেশের জনগণের ঐক্য ও সংগ্রামের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন।