Logo

আন্তর্জাতিক    >>   নামিবিয়ার প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হলেন নেতুম্বো নান্দি নাদাইতওয়া

নামিবিয়ার প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হলেন নেতুম্বো নান্দি নাদাইতওয়া

নামিবিয়ার প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হলেন নেতুম্বো নান্দি নাদাইতওয়া

 

নামিবিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন ক্ষমতাসীন এসডব্লিউএপিও (SWAPO) দলের নেত্রী এবং বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট নেতুম্বো নান্দি নাদাইতওয়া। মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) দেশটির নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করে। প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিলে তিনি নামিবিয়ার ইতিহাসে প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হবেন।

৭২ বছর বয়সী নাদাইতওয়া তার দীর্ঘ রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের জন্য পরিচিত। তিনি ষাটের দশকে এসডব্লিউএপিও দলে যোগ দেন, যখন দলটি দক্ষিণ আফ্রিকার শাসনের বিরুদ্ধে স্বাধীনতার জন্য লড়াই করছিল। দেশটির স্বাধীনতার পর তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।

নির্বাচনে নাদাইতওয়া ৫৭ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী হন। নামিবিয়ার সংবিধান অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হতে প্রার্থীর অন্তত ৫০ শতাংশ ভোট প্রয়োজন। জয়ী ঘোষণার পর নাদাইতওয়া বলেন, "নামিবিয়ার জনগণ শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং উন্নয়নের জন্য ভোট দিয়েছেন।"

১৯৯০ সালে এসডব্লিউএপিওর নেতৃত্বে নামিবিয়া স্বাধীনতা লাভ করে। এরপর থেকে দলটি টানা ৩৪ বছর ক্ষমতায় রয়েছে। এবারের নির্বাচনে নাদাইতওয়ার নেতৃত্বে দলটির ক্ষমতা আরও সুসংহত হয়েছে।

জাতীয় পরিষদের নির্বাচনেও এসডব্লিউএপিও সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে। পরিষদের ৯৬টি আসনের মধ্যে ৫১টি আসনে জয়ী হয়েছে দলটি। এর মাধ্যমে তারা গুরুত্বপূর্ণ নীতিনির্ধারণী ক্ষমতা ধরে রেখেছে।

নাদাইতওয়ার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন ইনডিপেনডেন্ট প্যাট্রিয়টস ফর চেঞ্জ (আইপিসি) দলের নেতা পান্দুলেনি ইতুলা। তিনি প্রায় ২৬ শতাংশ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় হয়েছেন। তবে আইপিসি নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ত্রুটিপূর্ণ বলে দাবি করেছে এবং ফলাফল চ্যালেঞ্জ করার ঘোষণা দিয়েছে।

নামিবিয়ায় গত ২৭ নভেম্বর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচন চলাকালে বিভিন্ন কারিগরি জটিলতা ও ব্যালট পেপারের ঘাটতির কারণে কিছু কিছু কেন্দ্রে ভোটগ্রহণের সময় বাড়ানো হয়। এতে ফলাফল ঘোষণা করতে দেরি হয়।

নেতুম্বো নান্দি নাদাইতওয়ার জয় কেবল নারী নেতৃত্বের জন্য নয়, বরং আফ্রিকার রাজনীতিতে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা। তার নেতৃত্বে দেশটি শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে এসডব্লিউএপিও দলের ক্ষমতায় আরও দীর্ঘস্থায়ীত্ব আনবে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।