গাজায় ইসরাইলের অব্যাহত হামলায় প্রাণহানি বেড়ে ২৩
- By Jamini Roy --
- 04 December, 2024
ইসরাইলি সেনাবাহিনীর অব্যাহত বিমান হামলায় রক্তাক্ত হয়ে উঠেছে ফিলিস্তিনের গাজা। মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) একাধিক স্থানে চালানো হামলায় নিহত হয়েছেন কমপক্ষে ২৩ জন। তাদের মধ্যে বেশিরভাগই বেইত লেহিয়া শহরের বাসিন্দা। আহত হয়েছেন আরও বহু মানুষ। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম রয়টার্স এই খবর নিশ্চিত করেছে।
স্থানীয় চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে জানা গেছে, মঙ্গলবার বেইত লেহিয়ায় ধারাবাহিক বিমান হামলায় আটজন নিহত হয়েছেন। এছাড়া, গাজার অন্যান্য এলাকায় আরও চারজন প্রাণ হারিয়েছেন।
একই দিনে গাজার উত্তরাঞ্চলের সবচেয়ে বড় শরণার্থী শিবির জাবালিয়াতে চালানো হামলায় নিহত হয়েছেন দুজন। সেখানে আরও বহু মানুষ আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
অন্যদিকে, গাজার জেইতুন শহরতলিতে আল-ফালাহ স্কুলে আশ্রয় নেওয়া বাস্তুচ্যুতদের ওপর বিমান হামলায় প্রাণ হারান ছয়জন। দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফাতে ড্রোন হামলায় তিনজন নারী নিহত হন।
গত অক্টোবর থেকে গাজার বেইত লাহিয়া, জাবালিয়া এবং বিত হ্যানউন শহরে ইসরাইলি সেনাবাহিনী অভিযান চালিয়ে আসছে। ইসরাইল দাবি করেছে, এ সময়ে তারা শতাধিক “সন্ত্রাসী”কে হত্যা করেছে।
অন্যদিকে, হামাস ও ইসলামিক জিহাদ জানায়, তারা গেরিলা কৌশলে বেশ কয়েকজন ইসরাইলি সেনাকে হত্যা করেছে।
গাজা ভূখণ্ডে টানা প্রায় ১৪ মাস ধরে ইসরাইলি সেনাদের বর্বর হামলায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে। এই সময়ে নিহত হয়েছেন ৪৪ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। নিহতদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।
বিমান হামলা থেকে রেহাই পায়নি স্কুল, মসজিদ এবং হাসপাতালের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোও। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নিন্দা সত্ত্বেও ইসরাইলের এই আক্রমণ থামার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এই হামলার নিন্দা জানিয়েছে। তবে কার্যকর পদক্ষেপের অভাবে ফিলিস্তিনের জনগণ প্রতিনিয়ত আরও বেশি বিপর্যয়ের মুখে পড়ছে। অবরুদ্ধ গাজায় খাদ্য, ওষুধ এবং মানবিক সহায়তার সংকট চরমে পৌঁছেছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, গাজার চলমান পরিস্থিতি মানবিক সংকটের পাশাপাশি রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করছে, যা আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার জন্যও হুমকি হয়ে উঠতে পারে।