দিল্লির আগ্রাসন ও অপপ্রচারের বিরুদ্ধে কঠোর বার্তা দিলেন রুহুল কবির রিজভী
- By Jamini Roy --
- 03 December, 2024
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ভারত সরকারের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত অপপ্রচার এবং বিভাজন তৈরির অভিযোগ করেছেন। মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব মন্তব্য করেন।
রিজভী বলেন, ভারতের শাসকগোষ্ঠী পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বিভাজন তৈরির চেষ্টা করছে। তাদের রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। "বাংলাদেশ কখনোই দিল্লির দাসত্ব মেনে নেয়নি এবং নেবে না," বলে উল্লেখ করেন তিনি।
রিজভী আরও বলেন, "ভারত নিজেদের সাম্প্রদায়িকতা সামলাতে ব্যর্থ হয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপতৎপরতা চালাচ্ছে। জনগণ কী চায় তা গুরুত্ব না দিয়ে তারা আগ্রাসনের পথে হাঁটছে। বিজেপি সরকারের প্রত্যক্ষ মদদে বাংলাদেশে অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা চলছে। তবে বাংলাদেশের জনগণ স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলবে।"
ভারতের সাম্প্রদায়িক সহিংসতা এবং সংখ্যালঘু নির্যাতনের প্রসঙ্গ তুলে রিজভী বলেন, "আসাম, কাশ্মীর, মনিপুর ও পাঞ্জাবে সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন চলছে। মুসলিমরা প্রতিনিয়ত নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েনের দরকার ভারতে, বাংলাদেশে নয়।"
তিনি আরও বলেন, "ভারতে সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে। অথচ তাদের মাস্টারপ্ল্যানের অংশ হিসেবে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করা হচ্ছে।"
বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়ে রিজভী বলেন, "যদি কোনো সংখ্যালঘু নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে, তবে তা সরকারকে জানানো উচিত। বাংলাদেশে বিভাজন নেই, বিভাজনের রেখা তৈরি করছে দিল্লি।"
ভারত সরকারের সাম্প্রদায়িক নীতির কঠোর সমালোচনা করে রিজভী বলেন, "যারা নিজেদের দেশে সংখ্যালঘুদের অধিকার নিশ্চিত করতে ব্যর্থ, তারা বাংলাদেশের বিষয়ে কথা বলার নৈতিক অধিকার হারিয়েছে। দিল্লির সুদূরপ্রসারী আগ্রাসনের পরিকল্পনা কখনোই সফল হবে না। বাংলাদেশের মানুষ বিভাজনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ।"
রিজভীর এই বক্তব্যে ভারতের শাসকগোষ্ঠীর সাম্প্রদায়িক নীতির তীব্র নিন্দা জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বিভাজন সৃষ্টির চেষ্টাকে জনগণের ঐক্যের মাধ্যমে প্রতিহত করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।