Logo

আন্তর্জাতিক    >>   ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি: শপথের আগেই গাজায় জিম্মি মুক্তির দাবি

ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি: শপথের আগেই গাজায় জিম্মি মুক্তির দাবি

ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি: শপথের আগেই গাজায় জিম্মি মুক্তির দাবি

যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজায় হামাসের হাতে আটক জিম্মিদের মুক্তি দাবি করেছেন। শপথ গ্রহণের আগে এই জিম্মিরা মুক্তি না পেলে হামাসকে গুরুতর পরিণতি ভোগ করতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি। সোমবার (২ ডিসেম্বর) নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে একটি পোস্টে ট্রাম্প বলেন, "২০২৫ সালের ২০ জানুয়ারি আমি প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেয়ার আগে গাজায় জিম্মিদের মুক্তি না দিলে মধ্যপ্রাচ্যে এবং মানবতার বিরুদ্ধে এই অপরাধের জন্য দায়ীদের গুরুতর পরিণতির মুখোমুখি হতে হবে।"

গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের সশস্ত্র সংগঠন হামাস ইসরাইল ভূখণ্ডে হামলা চালায়। এতে ১,২০৮ জন নিহত হন এবং দুই শতাধিক মানুষকে গাজায় জিম্মি করে নিয়ে যায়। জিম্মিদের মধ্যে কিছু মুক্তি পেলেও এখনো প্রায় ১০০ জন হামাসের হাতে বন্দি।

হামলার জবাবে ইসরাইলি বাহিনী গাজায় ব্যাপক প্রতিশোধমূলক হামলা চালায়। এই হামলায় এখন পর্যন্ত নারী-শিশুসহ প্রায় সাড়ে ৪৪ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। গাজার পরিস্থিতি প্রতিনিয়ত আরও ভয়াবহ হয়ে উঠছে।

ট্রাম্প ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে একটি সমঝোতা দেখতে চান। সম্প্রতি রিপাবলিকান সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, "ট্রাম্প গাজায় আটক জিম্মিদের মুক্তি এবং যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে আগের চেয়ে অনেক বেশি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। তিনি চান, প্রেসিডেন্ট হিসেবে অভিষেক অনুষ্ঠানের আগেই যেন এই সমস্যার সমাধান হয়।"

গাজার পরিস্থিতি নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগ বাড়ছে। ইসরাইলের অভিযানের কারণে সেখানকার মানবিক সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। এর মধ্যে ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

ডোনাল্ড ট্রাম্প তার দ্বিতীয় মেয়াদের শুরু থেকেই মধ্যপ্রাচ্যের সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ নিতে চান। জিম্মিদের মুক্তি এবং যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠা তার প্রশাসনের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য হতে পারে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন।