বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ শুরু করবে ইসি
- By Jamini Roy --
- 02 December, 2024
নির্বাচন কমিশন (ইসি) আগামী বছরের ২ মার্চ থেকে নতুন উদ্যোগে ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ শুরু করবে। এই প্রক্রিয়ায় কমিশনের কর্মকর্তারা বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করবেন। এসব তথ্যের ভিত্তিতে ২০২৬ সালে নতুন ভোটার হিসেবে তালিকাভুক্ত হবেন অনেক নাগরিক। এ সিদ্ধান্তটি নতুন নির্বাচন কমিশনের প্রথম সভায় নেয়া হয়, যা সোমবার (২ ডিসেম্বর) ঢাকার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীনের সভাপতিত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন চার কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, আবদুর রহমানেল মাসুদ, তহমিদা আহমদ, এবং ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ। বৈঠকে ভোটার তালিকা হালনাগাদ ছাড়াও নির্বাচনী প্রক্রিয়া উন্নয়নে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।
কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ জানান, ইসির কাছে বর্তমানে ১৭ লাখ নাগরিকের তথ্য রয়েছে, যারা ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে ভোটার তালিকায় যুক্ত হবেন। এর মধ্যে ১৩ লাখ তথ্য ২০২২ সালে সংগ্রহ করা হয়েছিল। তবে পরিসংখ্যান অনুযায়ী, প্রায় ৪৫ লাখ নতুন ভোটার হওয়া উচিত। তার মধ্যে প্রায় ২৮ লাখ এখনো নিবন্ধিত হয়নি। এ কারণেই হালনাগাদ প্রক্রিয়ায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
ভোটার তালিকা আইন অনুযায়ী, আগামী ২ জানুয়ারি থেকে ২ মার্চের মধ্যে খসড়া তালিকা প্রকাশ করা হবে। এরপর নাগরিকরা এই তালিকায় নিজের নাম অন্তর্ভুক্ত করতে বা সংশোধন করতে আবেদন করতে পারবেন।
২০২৬ সালের ভোটার তালিকায় নতুনভাবে যারা যুক্ত হবেন তাদের তথ্য সংগ্রহে ছয় মাসের মতো সময় লাগবে। এ সময় কমিশন বাড়ি বাড়ি গিয়ে বাদ পড়া নাগরিকদের অন্তর্ভুক্ত করবে এবং মৃত্যুবরণকারী ভোটারদের তালিকা থেকে বাদ দেবে। দ্বৈত ভোটার সমস্যা দূর করতেও কাজ করা হবে।
ইসি জানায়, সঠিক ও হালনাগাদকৃত ভোটার তালিকা তৈরি করতে এই প্রক্রিয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহের ফলে শুদ্ধ ও পূর্ণাঙ্গ ভোটার তালিকা তৈরি করা সম্ভব হবে। এই প্রক্রিয়া ২০২৬ সালের নির্বাচনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
বৈঠকে চারটি পৃথক কমিটি গঠন করা হয়েছে, যারা ভোটার তালিকা হালনাগাদ প্রক্রিয়া তদারকি করবে। জানুয়ারির ২ তারিখে খসড়া তালিকা প্রকাশ এবং ২ মার্চ চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে।
নির্বাচন কমিশনের নতুন উদ্যোগের মাধ্যমে সবার জন্য সুষ্ঠু ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ভোটাধিকার নিশ্চিত করার পরিকল্পনা রয়েছে। নাগরিকদের অংশগ্রহণ বাড়াতে এবং নতুন ভোটার তালিকা তৈরিতে এই উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।