Logo

আন্তর্জাতিক    >>   ইসরায়েলে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের দাবি

ইসরায়েলে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের দাবি

ইসরায়েলে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের দাবি

মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধ পরিস্থিতি নতুন মাত্রা পেয়েছে, যেখানে একদিকে সিরিয়ায় তীব্র সংঘর্ষ চলছে, অন্যদিকে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা ইসরায়েলের প্রতি হামলা জোরদার করেছে। সম্প্রতি, হুথি বিদ্রোহীরা দাবি করেছে যে, তারা ইসরায়েলের মধ্যাঞ্চলে একটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যবস্তুর দিকে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। এই ক্ষেপণাস্ত্রটির নাম "প্যালেস্টাইন ২" বলে দাবি করা হয়েছে, এবং হুথি গোষ্ঠী বলেছে যে, এটি ইয়েমেনে তৈরি করা হয়েছে।

ইসরায়েল, তবে, এই হামলার দাবি অস্বীকার করেছে এবং জানিয়েছে যে, তারা হুথি বিদ্রোহীদের আকাশপথে চালানো হামলাটি প্রতিহত করেছে। ইসরায়েলি সশস্ত্র বাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে, ইয়েমেন থেকে আকাশপথে একটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছিল, কিন্তু সেটি তাদের বিমানবাহিনী ধ্বংস করে ফেলেছে ইসরায়েলের ভূখণ্ডে প্রবেশের আগেই। রবিবার সকালে মধ্য ইসরায়েলের বিভিন্ন এলাকায় সাইরেনের শব্দ শোনা যায়, তবে হামলা প্রতিহত হওয়ায় কোনো বড় ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।

গত বছরের অক্টোবরে ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই হুথি বিদ্রোহীরা ইসরায়েলের প্রতি ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়ে আসছে। এই হামলা এবং ইসরায়েলের সঙ্গে তাদের উত্তেজনা অনেকাংশে মধ্যপ্রাচ্যে নতুন যুদ্ধের ইঙ্গিত দেয়। হুথি বিদ্রোহীরা শুধু ইসরায়েলকেই লক্ষ্যবস্তু করছে না, বরং লোহিত সাগর ও এডেন উপসাগরে পণ্যবাহী জাহাজ চলাচলে বাধা সৃষ্টি করছে, যার ফলে ওই অঞ্চলের বাণিজ্য এবং পরিবহন ব্যবস্থা সংকটে পড়ছে।

অপরদিকে, সিরিয়ায় বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর হামলা ও সংঘর্ষ আরও তীব্র হয়ে উঠেছে। সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের নতুন পর্ব শুরু হয়েছে, যেখানে ইসরায়েল ও হুথি বিদ্রোহীদের সংঘাত আরেকটি যুদ্ধক্ষেত্র হিসেবে দেখা দিচ্ছে। সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় আলেপ্পো শহরের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর বিদ্রোহীরা নতুনভাবে আক্রমণ করতে শুরু করেছে, এবং এর ফলস্বরূপ রাশিয়া ও সিরিয়ার বিমান বাহিনী একযোগে হামলা চালাচ্ছে।

এদিকে, মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাত বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে আন্তর্জাতিক মহলে এই অঞ্চলের স্থিতিশীলতা নিয়ে নতুন আশঙ্কা তৈরি হয়েছে, যেখানে নতুন অস্ত্রের ব্যবহার এবং আগ্রাসনের মাত্রা আরও বাড়ছে।