হত্যা মামলায় হাসানুল হক ইনুসহ সাবেক মন্ত্রীদের রিমান্ড ও গ্রেফতার
- By Jamini Roy --
- 30 December, 2024
রাজধানীর গুলশান থানায় করা একটি হত্যা মামলায় সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুকে চার দিনের রিমান্ডে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে নতুন মামলায় আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক বেশ কয়েকজন মন্ত্রী, এমপি এবং নেতাদের গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) পুলিশের পক্ষ থেকে রিমান্ড এবং গ্রেফতার দেখানোর আবেদন জানানো হয়। শুনানি শেষে বিচারক এ আদেশ দেন।
গুলশান থানায় করা হত্যা মামলায় সাবেক তথ্যমন্ত্রী ইনুর বিরুদ্ধে গঠনমূলক অভিযোগ আনা হয়েছে। এছাড়া নতুন করে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, উত্তর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট মনোয়ার ইসলাম রবিন, সাবেক নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান, সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক এবং সাবেক এমপি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীর বিরুদ্ধে।
এদের বিরুদ্ধে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, হাতিরঝিল, মিরপুর ও উত্তরা পশ্চিম থানায় করা একাধিক হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে নানা ধরনের মামলা দায়ের হচ্ছে। বিশেষ করে হত্যা মামলা এবং দুর্নীতির অভিযোগে বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতাকে আটক করা হয়েছে।
সাবেক তথ্যমন্ত্রী ইনুসহ অন্যদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাগুলোতে অভিযোগ আনা হয়েছে, তারা ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে বিভিন্ন অপরাধ সংগঠিত করেছেন। এরই মধ্যে তাদের একাধিক মামলায় রিমান্ডে নেয়া হয়েছে।
রাজধানীর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে শুনানির সময় পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, এই মামলাগুলো তদন্তের স্বার্থে অভিযুক্তদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা জরুরি। অভিযুক্তদের পক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিলের আবেদন করলেও আদালত পুলিশের আবেদন মঞ্জুর করেন।
সরকার পরিবর্তনের পর থেকে আওয়ামী লীগ সরকারের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা ও গ্রেফতারের বিষয়টি নতুন রাজনৈতিক উত্তেজনার সৃষ্টি করেছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এসব মামলা বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে আরও অস্থির করে তুলতে পারে।
উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগ সরকারের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাগুলোর অধিকাংশই হত্যাকাণ্ড, দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার সংক্রান্ত। বিচার প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার মাধ্যমে প্রকৃত দোষীদের চিহ্নিত করার আহ্বান জানিয়েছেন নাগরিক সমাজ।