Logo

আন্তর্জাতিক    >>   ডেমোক্র্যাটিক আইনপ্রণেতাদের বোমা হামলার হুমকি

ডেমোক্র্যাটিক আইনপ্রণেতাদের বোমা হামলার হুমকি

ডেমোক্র্যাটিক আইনপ্রণেতাদের বোমা হামলার হুমকি

যুক্তরাষ্ট্রের কানেটিকাট অঙ্গরাজ্যের পাঁচ ডেমোক্র্যাটিক আইনপ্রণেতা বোমা হামলার হুমকি পেয়েছেন, যা দেশটির রাজনীতিতে উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে তুলেছে। সম্প্রতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের মন্ত্রিসভার জন্য মনোনীত সদস্যদের বিরুদ্ধে একই ধরনের হুমকির খবর পাওয়া গিয়েছিল। এমন পরিস্থিতিতে এই নতুন হুমকি দেশটির নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।

ডেমোক্র্যাটিক আইনপ্রণেতারা এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, তাদের বাড়ির মেইলবক্সে পাইপ বোমা রেখে যাওয়ার হুমকি দিয়ে ইমেইল পাঠানো হয়। হুমকিপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন রিপ্রেজেন্টেটিভ জিম হিমস, জাহানা হেজ, জন লারসন, জো কার্টনি এবং সিনেটর ক্রিস মরফি।

পুলিশ হুমকি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তদন্ত শুরু করে এবং প্রাথমিকভাবে কোনো বিস্ফোরক খুঁজে পায়নি। তবে ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। কানেটিকাট পুলিশ জানিয়েছে, বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে।

হুমকির ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানিয়ে রিপ্রেজেন্টেটিভ জিম হিমস বলেন, "এ দেশে রাজনৈতিক সহিংসতার কোনো স্থান নেই।" তিনি আরও বলেন, "আমরা আশাবাদী যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকবে এবং এ ধরনের হুমকি আমাদের কাজ থামাতে পারবে না।"

এর আগে ২৬ ও ২৭ নভেম্বর ডোনাল্ড ট্রাম্পের মন্ত্রিসভার সম্ভাব্য সদস্য এবং হোয়াইট হাউস দলের একাধিক সদস্যও বোমা হামলার হুমকি পান। তাদের মধ্যে প্রতিরক্ষা, আবাসন, কৃষি এবং শ্রম মন্ত্রণালয়ের জন্য মনোনীত ব্যক্তিরা ছিলেন। এমনকি জাতিসংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনীত ব্যক্তিকেও হুমকি দেয়া হয়।

দেশটির কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এফবিআই জানিয়েছে, বোমা হামলার এই হুমকিগুলো পরিকল্পিত এবং বেশ কিছু ভুয়া ফোনকলের মাধ্যমে পুলিশের নজর কাড়ার চেষ্টা করা হয়েছে।

এফবিআই এবং স্থানীয় পুলিশ এখনও হুমকির সূত্র এবং এর পেছনে থাকা পরিকল্পনা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে। যদিও এখন পর্যন্ত কেউ গ্রেপ্তার হয়নি, তবে কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে যে তারা পুরো পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।

যুক্তরাষ্ট্রে সাম্প্রতিক সময়ে রাজনৈতিক সহিংসতা এবং হুমকির ঘটনা উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে। বিশেষত, গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা ব্যক্তিদের লক্ষ্য করে এ ধরনের হুমকি আরও বেশি হয়ে উঠছে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, দেশের রাজনৈতিক বিভাজন এবং উত্তেজনার প্রভাবেই এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হচ্ছে।

হুমকির ঘটনাগুলো রাজনৈতিক সংস্কৃতি এবং জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে নতুন আলোচনা শুরু করেছে। আইনপ্রণেতারা এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এই সমস্যা সমাধানে আরও কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।