Logo

রাজনীতি    >>   শ্বেতপত্র ১ ডিসেম্বর, ২ ডিসেম্বর জাতির সামনে: ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য

শ্বেতপত্র ১ ডিসেম্বর, ২ ডিসেম্বর জাতির সামনে: ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য

শ্বেতপত্র ১ ডিসেম্বর, ২ ডিসেম্বর জাতির সামনে: ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে শ্বেতপত্র হস্তান্তর এবং পরে তা জাতির সামনে তুলে ধরার প্রস্তুতি চলছে। শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রধান ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) মিলনায়তনে সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে জানান, আগামী ১ ডিসেম্বর শ্বেতপত্র প্রধানমন্ত্রী উপদেষ্টার কাছে হস্তান্তর করা হবে এবং পরদিন, ২ ডিসেম্বর তা জাতির সামনে প্রকাশ করা হবে।

ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য আরও জানান, শ্বেতপত্রে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা এবং বিশেষত আর্থিক খাতে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়টি তুলে ধরা হবে। তিনি বলেন, ‘আগামী সোমবার (২ ডিসেম্বর) অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে আর্থিক খাতের লুটপাটের ফিরিস্তি জনগণের সামনে তুলে ধরা হবে। তার আগের দিন, অর্থাৎ ১ ডিসেম্বর, শ্বেতপত্রের চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টার হাতে তুলে দেয়া হবে।’

এর আগে ২৮ আগস্ট, অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে ১২ সদস্যের একটি শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি গঠন করা হয়েছিল। এই কমিটি দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ও বিভিন্ন খাতের বিশেষ অবস্থা পর্যালোচনা করে। ড. দেবপ্রিয় জানিয়েছেন, শ্বেতপত্র প্রণয়নের জন্য তারা ব্যাপক পরিসরের তথ্য সংগ্রহ করেছেন এবং বর্তমানে ডেটা সম্পাদনার কাজ চলছে।

তিনি বলেন, ‘আমরা মিলিয়ন ডেটা পেয়েছি এবং এর ভিত্তিতে রিপোর্ট তৈরি হয়েছে। আশা করি, আগামীকাল (শুক্রবার) তা প্রধান উপদেষ্টার কাছে হস্তান্তর করা হবে।’

এছাড়া, ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য আরও উল্লেখ করেছেন, দেশে অর্থনৈতিক পরিবর্তন আনার জন্য সরকার বেশ কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। তবে, তিনি সতর্ক করেছেন যে, যদি দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত সম্পদ জনগণের কাছে ফিরিয়ে না দেয়া যায়, তাহলে তা কোনো ধরনের বিপ্লবের অংশ হতে পারে না।

এই শ্বেতপত্রে বিশেষভাবে দেশের ব্যাংক খাত এবং জ্বালানিখাতে বড় ধরনের অনিয়মের বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। এর মাধ্যমে সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে, এমন বার্তা দেওয়া হয়েছে।

এদিকে, ২ ডিসেম্বর, শ্বেতপত্রের প্রকাশের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতি এবং বিশেষত আর্থিক খাতের দুর্নীতি ও অনিয়ম নিয়ে সরকার যে অবস্থান নিয়েছে, তা জাতির সামনে স্পষ্ট হয়ে উঠবে।