ইসকন নিষিদ্ধ নিয়ে হাইকোর্টের বক্তব্য
- By Jamini Roy --
- 28 November, 2024
বাংলাদেশের উচ্চ আদালত বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) বলেছেন, আন্তর্জাতিক কৃষ্ণ ভাবামৃত সংঘ (ইসকন) সম্পর্কে নিষিদ্ধ করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে সরকারের। আদালত বলেছে, এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা সরকারের অধিকারী, এবং আদালতের হস্তক্ষেপ এই ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় নয়। এই বক্তব্যে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আদালতকে জানিয়েছেন, সরকার ইসকনের কার্যক্রম নিয়ে কঠোর অবস্থানে রয়েছে।
হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর বেঞ্চে এই বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার অনীক আর হক এবং ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদ উদ্দিন এ তথ্য জানান। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আরও জানান যে, সরকার ইসকনের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে এবং সরকার যে সিদ্ধান্ত নেবে, তা বাস্তবায়ন করা হবে।
এদিন আদালত আরও জানায়, ইসকন নিষিদ্ধ করার বিষয়ে সরকারের যে সিদ্ধান্ত, সে সম্পর্কে আদালতের কোনও হস্তক্ষেপ করা উচিৎ হবে না। আদালত মন্তব্য করে, বাংলাদেশ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ হলেও এখানে সব ধর্মের মানুষের মধ্যে সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে যা কখনো ভাঙবে না। রাষ্ট্রের নাগরিকদের জানমালের নিরাপত্তার দায়িত্ব রাষ্ট্রের এবং সরকারকে তাদের তৎপরতা চালিয়ে যেতে হবে।
ইসকন নিষিদ্ধ করার পক্ষে আইনজীবী মো. মনির উদ্দিন আদালতে বলেন, বাংলাদেশে ইসকন ভারতীয় এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে। তার দাবি, ইসকন একটি আন্তর্জাতিক সংগঠন, যা বাংলাদেশে ধর্মীয় ও রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করছে। তিনি আদালতের কাছে আবেদন করেন, ইসকনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করতে সরকারের প্রতি নির্দেশনা দেওয়ার জন্য।
এছাড়া আদালত ২৭ নভেম্বর, ২০২৪ তারিখে ইসকন সম্পর্কিত একটি প্রতিবেদন বিচারাধীন ছিল, যেখানে আদালত জানতে চেয়েছিল, ইসকন কী ধরনের সংগঠন, তাদের রেজিস্ট্রেশন আছে কিনা, এবং এই সংগঠনের সঙ্গে কারা জড়িত, তা নিয়ে সরকার কোনো পদক্ষেপ নিয়েছে কিনা। এই বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামানকে তথ্য সরবরাহ করতে বলা হয়েছিল।
এই সময়ে, রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা আদালতকে আরও জানান যে, চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যাকাণ্ডে তিনটি মামলা হয়েছে এবং এ ঘটনায় ৩৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আদালত সরকারের নেওয়া পদক্ষেপে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সরকারের তৎপরতা আরও বাড়াতে হবে।
এভাবে, ইসকন সম্পর্কিত সমস্যাটি এখন সরকারের হাতে, এবং আদালত তাদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য সময় দিয়েছে।