ইসকনের বিবৃতি: চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের মুক্তি ও সনাতনী সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা
- By Jamini Roy --
- 26 November, 2024
ইন্টারন্যাশনাল কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ (ইসকন) বাংলাদেশ, সম্প্রতি দেশজুড়ে সনাতনী সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে হামলা ও সহিংসতার ঘটনাগুলো নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ২৬ নভেম্বর ২০২৪ তারিখে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে, ইসকন বাংলাদেশে সংঘটিত হামলা ও চিন্ময় কৃষ্ণ দাসসহ সনাতনীদের গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে তাদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। ইসকন বাংলাদেশ এই ঘটনা এবং এর পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের আচরণের তীব্র নিন্দা করেছে এবং সনাতনী সম্প্রদায়ের নাগরিক অধিকার রক্ষার দাবী জানিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস, যিনি দেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা ও অধিকার রক্ষার জন্য সরকারের কাছে আবেদন জানাচ্ছিলেন, তার গ্রেপ্তার উদ্বেগজনক। ইসকনের মতে, একজন নাগরিক হিসেবে তার মতপ্রকাশের স্বাধীনতা এবং অন্যদের অধিকার রক্ষায় তার ভূমিকা অপরিহার্য, এবং তাকে সঠিকভাবে আইনগত সুরক্ষা দেয়া উচিত।
ইসকন বাংলাদেশ সরকারের প্রতি তিনটি বিশেষ দাবি তুলে ধরে: ১. সনাতনী সম্প্রদায়ের ওপর হামলা এবং সহিংসতার সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হোক। ২. চিন্ময় কৃষ্ণ দাসসহ সনাতনীদের নাগরিক অধিকার সুরক্ষিত করা হোক, যাতে তাদের বিরুদ্ধে বৈষম্যমূলক আচরণ না হয়। ৩. দেশের সব সম্প্রদায়ের মধ্যে শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হোক।
ইসকন, বাংলাদেশ, একটি সুপ্রতিষ্ঠিত সনাতনী সংগঠন হিসেবে, দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় স্বাধীনতা এবং অধিকার রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তারা আরও দাবি করে যে, সরকার ও প্রশাসন যেন সনাতনী সম্প্রদায়ের নেতাদের সাথে আলোচনা করে এবং সমাধানমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করে, যাতে দেশের মধ্যে সবার জন্য একটি শান্তিপূর্ণ এবং নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করা যায়।
বিবৃতিতে ইসকন আরও যোগ করেছে, বাংলাদেশ আমাদের জন্মভূমি এবং এই দেশের মানুষের আচার্য্য ও সাধু-সন্তরা জন্মগ্রহণ করেছেন, তাই ইসকন বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে শান্তিপূর্ণভাবে বর্তমান ও ভবিষ্যতের যেকোনো সরকারের সাথে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তারা সরকারের কাছে বিশেষ অনুরোধ জানান, যেন দেশের প্রতিটি নাগরিক তাদের ব্যক্তিগত বিবেক এবং বিশ্বাস অনুযায়ী নির্বিঘ্নে ধর্মচর্চা করতে পারে।
ইসকন বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক, চারুচন্দ্র দাস ব্রহ্মচারী, সবাইকে ধর্মীয় সহনশীলতা বজায় রাখার এবং কোনো ধরনের উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। তাদের আশা, সরকার এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতি গভীরভাবে বিশ্লেষণ করে, শান্তিপূর্ণ সমাধান খুঁজে বের করবে এবং দেশে সম্প্রীতির পরিবেশ ফিরিয়ে আনবে।
এই বিবৃতির মাধ্যমে, ইসকন বাংলাদেশ সকলের মধ্যে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের প্রচার এবং মানবিক মূল্যবোধের প্রতি তার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে।