Logo

অর্থনীতি    >>   শ্রম অধিকার মেনে চললে জিএসপি সুবিধা পাবে বাংলাদেশ

শ্রম অধিকার মেনে চললে জিএসপি সুবিধা পাবে বাংলাদেশ

শ্রম অধিকার মেনে চললে জিএসপি সুবিধা পাবে বাংলাদেশ

বাংলাদেশের বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, যদি বাংলাদেশ শ্রম অধিকার সংক্রান্ত বিষয়গুলো মেনে চলে এবং আন্তর্জাতিক মানে উন্নতি করতে পারে, তবে দেশটি অবশ্যই জিএসপি (জেনারেলাইজড সিস্টেম অব প্রেফারেন্স) সুবিধা পাবে। তিনি এই মন্তব্য করেন রোববার, ২৪ নভেম্বর, সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের আন্তর্জাতিক শ্রমবিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি মিসেস কেলি এম ফে রদ্রিগেজের নেতৃত্বে ২০ সদস্যের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে এক বৈঠক শেষে।

বৈঠকে বাণিজ্য সচিব মোহাং সেলিম উদ্দিন, মার্কিন দূতাবাসের প্রধান মেগান বোল্ডিং এবং অন্যান্য কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, "লেবার রাইটস বা শ্রম অধিকার সংক্রান্ত যে ১১ দফা কর্মসূচি রয়েছে, তা বাস্তবায়নে আমরা বিস্তৃত আলোচনা করেছি। এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে পারলে বাংলাদেশের শ্রম খাত আরও উন্নত হবে এবং এর মাধ্যমে জিএসপি সুবিধা লাভের সম্ভাবনা বাড়বে।"

তিনি আরও বলেন, "আমরা এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আলোচনা করেছি। শ্রম অধিকার, শ্রমিকের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন, নিরাপত্তা ও শ্রমিক ইউনিয়নগুলোর কার্যক্রম বৃদ্ধি করতে কিছু প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। শ্রম মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে কাজ করছে এবং আমরা সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের সহযোগিতায় এগুলো দ্রুত বাস্তবায়নের চেষ্টা করছি।"

শেখ বশিরউদ্দীন জানান, বাংলাদেশের সরকার শ্রম খাতের সংস্কার নিয়ে কাজ করছে এবং একটি শক্তিশালী টিম এই সংস্কার কাজগুলো বাস্তবায়ন করছে। তিনি উল্লেখ করেন, "আমরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের বাণিজ্য বাড়ানোর পাশাপাশি শ্রম অধিকার বিষয়েও সমন্বিতভাবে কাজ করছি। মার্কিন প্রতিনিধি দল আমাদের এ সহযোগিতা দেওয়ার বিষয়ে আশ্বস্ত করেছেন।"

মিজেস কেলি এম ফে রদ্রিগেজ এবং তাঁর দলের সদস্যরা বাংলাদেশে শ্রম অধিকার ও শ্রমিক ইউনিয়ন সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় পর্যালোচনা করছেন। তাঁরা বাংলাদেশের শ্রম আইন ও শর্তাবলী আরও উন্নত করার বিষয়ে সহযোগিতা প্রদান করবে বলে জানান।

এছাড়া, তৈরিপোশাক খাতে অস্থিরতা নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি, তবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদল এই খাতের মানোন্নয়ন বিষয়ে সাহায্য করার আশ্বাস দিয়েছে।

বাণিজ্য উপদেষ্টা আরো বলেন, "বর্তমান সরকার শ্রম খাতে সংস্কারের জন্য একটি বিশেষ টিম গঠন করেছে এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়সহ সমন্বিতভাবে এগুলো বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। শ্রম অধিকার বিষয়ক আলোচনা এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক বৃদ্ধি আমাদের গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য।"