ব্যাটারিচালিত রিকশার দাবিতে গণ-অবস্থান, হাইকোর্টের আদেশ প্রত্যাহার চায় চালকরা
- By Jamini Roy --
- 24 November, 2024
বাংলাদেশে ব্যাটারিচালিত রিকশা ও অটোরিকশা চালকরা ২৪ নভেম্বর থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গণ-অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেছেন। তাদের প্রধান দাবি, ব্যাটারিচালিত যানবাহন বন্ধের হাইকোর্টের আদেশ প্রত্যাহার করা হোক। এই আন্দোলনে অংশ নিয়েছেন বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত চালকরা, যারা ১২ দফা দাবি নিয়ে আন্দোলন করছেন।
এদিন সকাল ১০টা থেকে শুরু হওয়া এই কর্মসূচিতে অংশ নেয় হাজারো রিকশাচালক, যাদের মধ্যে অনেকেই বিশাল মিছিল নিয়ে প্রেস ক্লাবের দিকে এগিয়ে আসেন। তাদের দাবি, ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধ হলে তাদের পরিবারের জীবিকা চালানো অসম্ভব হয়ে পড়বে। অনেক রিকশাচালক ঋণের বোঝা নিয়ে বিপাকে আছেন, তাই তারা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত গণ-অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
এছাড়াও, তাদের দাবি অনুযায়ী, ব্যাটারিচালিত যানবাহনের জন্য বিআরটিএ লাইসেন্স এবং যৌক্তিক রুট পারমিট প্রদান করতে হবে। অন্যদিকে, ঢাকার বিভিন্ন এলাকা, যেমন কামরাঙ্গীরচর, সেকশন, হাজারিবাগ, মোহাম্মদপুর এবং টিটাগাং রোড থেকে আরো অনেক চালক এ আন্দোলনে অংশ নিতে আসছেন।
এই আন্দোলনের ফলে প্রেস ক্লাবের সামনে প্রধান সড়কটি বন্ধ হয়ে গেছে, এবং আশপাশের সড়কগুলোতে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে। গণ-অবস্থান কর্মসূচিতে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীও সংহতি প্রকাশ করেছে, এবং তারা গণসঙ্গীত পরিবেশন করছে।
আমরা জানি, গত ২১ নভেম্বর হাইকোর্ট ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছিল, যা চালকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। এরপর থেকে বিভিন্ন জায়গায় রাস্তায় অবস্থান, সড়ক অবরোধসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। রিকশাচালকদের মতে, তারা দীর্ঘদিন ধরে বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন, এবং তাদের দাবি পূরণের জন্য সরকারের কাছে আবেদন জানাচ্ছেন।
তাদের ১২ দফা দাবি মধ্যে রয়েছে:
- ব্যাটারিচালিত যানবাহনের সড়ক উপযোগী নকশা অনুযায়ী আধুনিকায়ন এবং তাদের জন্য সঠিক রুট পারমিট প্রদান।
- শ্রমিকদের জন্য ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান এবং সড়ক ব্যবস্থাপনা ও পরিকল্পনা কমিটি গঠন।
- সড়ক লেন পদ্ধতি সচল এবং সার্ভিস লেন নির্মাণসহ, ব্যাটারিচালিত যানবাহনকে গণপরিবহন হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গণ-অবস্থান কর্মসূচির কারণে সড়কগুলোতে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে এবং রাজধানীজুড়ে যানজট সৃষ্টি হয়েছে। আন্দোলনকারী চালকরা জানান, তাদের আন্দোলন চলবে যতক্ষণ না পর্যন্ত তাদের দাবি মেনে নেওয়া না হয়।