Logo

আন্তর্জাতিক    >>   মহারাষ্ট্রে এনডিএর জয়, ঝাড়খণ্ডে বিরোধী জোটের উত্থান

মহারাষ্ট্রে এনডিএর জয়, ঝাড়খণ্ডে বিরোধী জোটের উত্থান

মহারাষ্ট্রে এনডিএর জয়, ঝাড়খণ্ডে বিরোধী জোটের উত্থান

মহারাষ্ট্র ও ঝাড়খণ্ডের বিধানসভার নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে, যেখানে দুই রাজ্যের রাজনীতিতে এক ভিন্ন চিত্র ফুটে উঠেছে। মহারাষ্ট্রে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ বা ‘মহাহুতি জোট’ বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছে। অন্যদিকে, ঝাড়খণ্ডে বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’ বা ‘মহা বিকাশ আঘাড়ী’ বিপুল আসনে জয়ী হয়েছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এই তথ্য।

মহারাষ্ট্রে ২৮৮টি আসনের মধ্যে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ পেয়েছে ২৩৫টি আসন। অন্যদিকে, শিবসেনা (উদ্ধব ঠাকরে), এনসিপি এবং কংগ্রেসের জোট মাত্র ৪৯টি আসন দখল করতে পেরেছে। এই ফলাফল মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক অঙ্গনে বিরাট পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এক্স (সাবেক টুইটার)-এ এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, “উন্নয়নের জয় হয়েছে, সুশাসনের জয় হয়েছে। আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে আরও উচ্চতায় পৌঁছাব।” তিনি মহারাষ্ট্রের জনগণ, বিশেষ করে যুব ও নারীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন, যাঁরা এনডিএকে ঐতিহাসিক জনাদেশ দিয়েছেন।

মে মাসে অনুষ্ঠিত লোকসভা নির্বাচনে বিরোধী জোট ‘মহা বিকাশ আঘাড়ী’ মহারাষ্ট্রের ৪৮টি আসনের মধ্যে ৩০টি আসনে জয়লাভ করেছিল। তবে মাত্র পাঁচ মাসের ব্যবধানে বিধানসভা নির্বাচনে এই জোটের জনপ্রিয়তা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে।

ঝাড়খণ্ডের ৮১ আসনের বিধানসভা নির্বাচনে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (জেএমএম)-কংগ্রেস জোট পেয়েছে ৫৬টি আসন। অপরদিকে, বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট পেয়েছে ২৪টি আসন। ঝাড়খণ্ডের এই ফলাফল রাজ্যের রাজনৈতিক দিশায় পরিবর্তন আনতে পারে।

এই ফলাফল নিয়ে মোদি বলেন, “ঝাড়খণ্ডের মানুষকে ধন্যবাদ জানাই আমাদের পাশে থাকার জন্য। জনসাধারণের সমস্যা সমাধানে আমরা কাজ করে যাব। বিজয়ী জোটকে অভিনন্দন জানাই।”

এদিকে, কেরালার ওয়েনাড়ে লোকসভা আসনের উপনির্বাচনে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী প্রার্থী হয়ে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছেন। তিনি তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির সথ্যান মোকেরিকে ৪ লক্ষ ১০ হাজারের বেশি ভোটে পরাজিত করেছেন।

প্রিয়াঙ্কার জন্য এটি ছিল প্রথম নির্বাচন, যা তাঁর রাজনৈতিক জীবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। রাহুল গান্ধীর পদত্যাগের পর এই আসনে তাঁর জয় কংগ্রেসের জন্য আশার আলো হিসেবে দেখা হচ্ছে।