যুক্তরাজ্যে পা রাখলে নেতানিয়াহুর গ্রেপ্তার হতে পারে
- By N/A --
- 23 November, 2024
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) সম্প্রতি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। গাজায় যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত হয়ে এই পরোয়ানা জারি হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাজ্যের ডাউনিং স্ট্রিট জানিয়েছে, আইসিসির গ্রেপ্তারি আদেশ মেনে চলতে তারা আইনি বাধ্যবাধকতায় প্রতিশ্রুত।
আইসিসির প্রধান কৌঁসুলি করিম খান গত মে মাসে নেতানিয়াহু, তৎকালীন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট এবং হামাস নেতা মোহাম্মদ দেইফের বিরুদ্ধে এই পরোয়ানার আবেদন করেন। আদালত বলেছে, গাজায় খাদ্য সরবরাহ বন্ধ করে ‘ক্ষুধাকে যুদ্ধাস্ত্র’ হিসেবে ব্যবহার করায় নেতানিয়াহুর অপরাধমূলক দায় রয়েছে। এ ছাড়া তাকে হত্যা, নির্যাতনসহ অন্যান্য মানবতাবিরোধী অপরাধেও অভিযুক্ত করা হয়েছে।
যুক্তরাজ্যের আইন অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের পরোয়ানা কার্যকর করতে তারা বাধ্য। শুক্রবার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের মুখপাত্র বলেন, “যুক্তরাজ্য সবসময় আইনি বাধ্যবাধকতা মেনে চলে।” তবে তিনি নেতানিয়াহুর সম্ভাব্য গ্রেপ্তার বিষয়ে সরাসরি মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান।
লেবার দলের এমপি এমিলি থর্নবেরি বলেন, “আইসিসির সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে আমরা নেতানিয়াহুকে গ্রেপ্তারে বাধ্য। এতে কোনো সন্দেহ নেই।”
আইসিসির এই পদক্ষেপে পশ্চিমা বিশ্বে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। যুক্তরাজ্য, নেদারল্যান্ডস, আয়ারল্যান্ড, ফিনল্যান্ড, সুইজারল্যান্ডসহ ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশ পরোয়ানা মেনে চলার কথা জানিয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এই সিদ্ধান্তের নিন্দা করেছেন। তার মতে, “ইসরায়েল ও হামাস সমতুল্য নয়।”
আইসিসির পরোয়ানা কার্যকর করতে যুক্তরাজ্যের একটি বিশেষ দল প্রথমে প্রমাণ যাচাই করবে। এরপর আদালত সিদ্ধান্ত নেবে গ্রেপ্তার হবে কিনা। তবে ডাউনিং স্ট্রিটের সাম্প্রতিক ইঙ্গিতে স্পষ্ট, নেতানিয়াহু যুক্তরাজ্যে গেলে তাকে গ্রেপ্তার করার সম্ভাবনা প্রবল।
ইসরায়েল এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে এবং আইসিসির পদক্ষেপকে পক্ষপাতদুষ্ট বলেছে। তারা বলছে, নেতানিয়াহু ও গ্যালান্ট গাজায় যে পদক্ষেপ নিয়েছেন তা আত্মরক্ষামূলক।