Logo

অর্থনীতি    >>   জ্বালানি খাতে সাশ্রয় ও উন্নয়নের পরিকল্পনা

জ্বালানি খাতে সাশ্রয় ও উন্নয়নের পরিকল্পনা

জ্বালানি খাতে সাশ্রয় ও উন্নয়নের পরিকল্পনা

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান জানিয়েছেন, গত তিন মাসে সরকারি ক্রয়ে সাশ্রয় হয়েছে ৩৭০ কোটি টাকা। তিনি এ সাফল্যের পাশাপাশি জ্বালানি খাতে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও সমস্যার সমাধানের দিকেও জোর দিয়েছেন। রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে শনিবার (২৩ নভেম্বর) বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রি আয়োজিত এক আলোচনাসভায় এসব কথা বলেন তিনি।

উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান উল্লেখ করেন, সঠিক পদক্ষেপের ফলে জ্বালানি খাতে উল্লেখযোগ্য সাশ্রয় সম্ভব হয়েছে। সরকারি ক্রয় প্রক্রিয়ায় অধিক স্বচ্ছতা এবং দক্ষতার কারণে এই সাশ্রয় হয়েছে বলে তিনি মনে করেন।

তিনি বলেন, “সরকারি ক্রয়ে প্রতিযোগিতার অভাব রয়েছে, যা দূর করা প্রয়োজন। প্রতিযোগিতার পরিবেশ তৈরি করা গেলে সাশ্রয় আরও বাড়বে। পাশাপাশি ঘুষ বাণিজ্য থেকে বেরিয়ে আসারও তাগিদ দিয়েছেন তিনি। সরকারি ক্রয়কে আরও দক্ষ ও প্রতিযোগিতামূলক করার আহ্বান জানান।”

জ্বালানি খাতের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রতি গুরুত্ব আরোপ করেন উপদেষ্টা। তিনি জানান, "চলতি সপ্তাহেই ৪০টি নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রকল্পের দরপত্র আহ্বান করা হবে। নবায়নযোগ্য জ্বালানি আমাদের জন্য টেকসই ও পরিবেশবান্ধব সমাধান দিতে পারে।"

উপদেষ্টা আরও বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধির জন্য সরকারের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি এ খাতকে দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়নের প্রধান চালিকাশক্তি হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে নীতি-সমর্থন ও প্রণোদনা দেওয়ার পরিকল্পনার কথাও জানান।

শিল্প খাতের জ্বালানি সংকট নিয়ে তিনি বলেন, "সরকারের সঙ্গে সখ্য করেই ব্যবসা চলবে না। ভালো ব্যবসায়ীদের জন্য একটি স্বচ্ছ এবং প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ তৈরি করতে হবে।" এই নীতি অনুসরণ করে ব্যবসায়িক কার্যক্রমে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার তাগিদ দেন তিনি।

তিনি বলেন, “জ্বালানি খাতের সামনে চ্যালেঞ্জ রয়েছে, তবে নবায়নযোগ্য জ্বালানির মতো উদ্ভাবনী সমাধানই এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে। দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়নের জন্য দক্ষতা বৃদ্ধি এবং প্রাতিষ্ঠানিক স্বচ্ছতা অপরিহার্য।”

উল্লেখ্য, আলোচনা সভায় দেশীয় শিল্পখাতের উন্নয়ন ও টেকসই জ্বালানি ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা হয়। দেশের উন্নয়নের জন্য নবায়নযোগ্য জ্বালানির ভূমিকা, সরকারি ক্রয় ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা, এবং জ্বালানি ব্যবস্থাপনায় দক্ষতা বৃদ্ধির গুরুত্ব তুলে ধরা হয়।