Logo

রাজনীতি    >>   দীর্ঘ ১৪ বছর পর চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত

দীর্ঘ ১৪ বছর পর চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত

দীর্ঘ ১৪ বছর পর চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত

চুয়াডাঙ্গায় ২৩ নভেম্বর দীর্ঘ ১৪ বছর পর চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির বহুল প্রতীক্ষিত সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আজ শনিবার সকালে চুয়াডাঙ্গা টাউন ফুটবল মাঠে জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে এ সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। দলীয় পতাকা উত্তোলন এবং বেলুন উড়িয়ে এ সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়।

সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। স্থানীয় বিএনপির নেতা-কর্মীদের উৎসাহ উদ্দীপনায় টাউন ফুটবল মাঠ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। সকাল ৯টা থেকে ডেলিগেট, কাউন্সিলর এবং আমন্ত্রিত অতিথিরা সম্মেলনস্থলে আসতে থাকেন।

সম্মেলনে উপস্থিত প্রায় ১৩ হাজার ডেলিগেট ও কাউন্সিলরদের মধ্যে ৮০৮ জন ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। কাউন্সিলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন মাহমুদ হাসান খান বাবু। তবে সাধারণ সম্পাদক পদে দুইজন এবং সাংগঠনিক সম্পাদক পদে চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ভোটগ্রহণের পর চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব নির্বাচন করা হবে। পুরো প্রক্রিয়া বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ভার্চুয়ালি পর্যবেক্ষণ করবেন।

উদ্বোধন পর্বে বিএনপির বিভিন্ন শীর্ষস্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন। মঞ্চে জায়গা নেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, নিতাই রায় চৌধুরী, ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুণ্ডু, এবং জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আজিজুল বারী হেলাল।

অনুষ্ঠানে অংশ নেন মেহেরপুর, কুষ্টিয়া এবং চুয়াডাঙ্গা জেলার বিভিন্ন পর্যায়ের বিএনপি নেতৃবৃন্দ। জেলা ছাত্রদল, যুবদল, মহিলা দল, স্বেচ্ছাসেবক দলসহ অন্যান্য সহযোগী সংগঠনের নেতারাও বক্তব্য রাখেন। বিএনপির জাসাস (জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা) দলের পক্ষ থেকে পরিবেশিত হয় দলীয় সংগীত।

এর আগে ২০১০ সালে সর্বশেষ চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এরও আগে সর্বশেষ সম্মেলন হয়েছিল ১৯৯৯ সালে। দলটির নেতারা অভিযোগ করেছেন, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের নির্যাতন এবং দমন-পীড়নের কারণে দীর্ঘদিন সম্মেলন আয়োজন সম্ভব হয়নি। তবে এবারের সম্মেলন ঘিরে স্থানীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উদ্দীপনা দেখা গেছে।

সম্মেলনের এক পর্যায়ে আন্দোলন-সংগ্রামে নিহত বিএনপির নেতা-কর্মীদের স্মরণে শোক প্রস্তাব গৃহীত হয়। জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ওয়াহেদুজ্জামান শোক প্রস্তাব উত্থাপন করেন। একইসঙ্গে দোয়া করা হয় সাম্প্রতিক সময়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনায়।

সম্মেলনে জেলা বিএনপির সাংগঠনিক প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন সদস্য খন্দকার আবদুল জব্বার। এ ছাড়াও জেলা ছাত্রদল, যুবদল, মহিলা দলসহ সহযোগী সংগঠনের নেতারা বক্তব্য দেন। দিনব্যাপী সম্মেলনের শেষাংশে কাউন্সিলরদের গোপন ভোটে সাধারণ সম্পাদক এবং সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হবেন।

চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির এ সম্মেলন দলীয় ঐক্য এবং নতুন নেতৃত্বের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। দলের নেতারা আশা প্রকাশ করেছেন, নতুন নেতৃত্বের মাধ্যমে বিএনপি স্থানীয় পর্যায়ে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবে।