Logo

আন্তর্জাতিক    >>   ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ না হওয়া পর্যন্ত রাশিয়ার পাশে থাকার অঙ্গীকার উত্তর কোরিয়ার

ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ না হওয়া পর্যন্ত রাশিয়ার পাশে থাকার অঙ্গীকার উত্তর কোরিয়ার

ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ না হওয়া পর্যন্ত রাশিয়ার পাশে থাকার অঙ্গীকার উত্তর কোরিয়ার

ইউক্রেন যুদ্ধ চলাকালীন রাশিয়ার পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিলো উত্তর কোরিয়া। এই অঙ্গীকার করেছেন উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী চো সন হুই, যিনি রাশিয়া সফরে গিয়েছেন এবং স্থানীয় সময় শুক্রবার (১ নভেম্বর) মস্কোতে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের সঙ্গে এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেন। এই বৈঠকটি এমন এক সময়ে অনুষ্ঠিত হলো, যখন রাশিয়ার পাশে লড়াই করার জন্য উত্তর কোরিয়ার প্রায় ১০ হাজার সেনা মোতায়েনের গুঞ্জন চলছে।

উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী চো সন হুই বলেন, পিয়ংইয়ংয়ের দৃঢ় বিশ্বাস যে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের দৃঢ় নেতৃত্বে রুশ সেনাবাহিনী তাদের রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব রক্ষার যুদ্ধে সফলতা অর্জন করবে। তিনি আরও বলেন, “আমরা বিজয়ের দিন পর্যন্ত আমাদের রুশ কমরেডদের পাশে থাকবো।” তবে, যুক্তরাষ্ট্র, ন্যাটো, দক্ষিণ কোরিয়া এবং ইউক্রেন থেকে যে অভিযোগ এসেছে যে উত্তর কোরিয়া রাশিয়ায় ১০ হাজার সৈন্য পাঠিয়েছে, সেই বিষয়ে চো সন হুই কিংবা সের্গেই ল্যাভরভ পরিষ্কার কোনো বক্তব্য দেননি।

এদিকে, ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ সাংবাদিকদের জানান, রাশিয়া থেকে এ বিষয়ে কোনো নতুন তথ্য পাওয়া যায়নি। পেসকভ বলেন, "যা বলার ছিল, তা আমরা বলেছি, এবং এর বাইরে বলার মতো কিছু নেই।" টেলিভিশনে বক্তব্য দেওয়ার সময় চো সন হুই তার দেশের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ কোরিয়া পারমাণবিক হামলার পরিকল্পনা করছে বলে অভিযোগ করেন। যদিও এই অভিযোগের কোনো লিখিত প্রমাণ তিনি দেননি।

ইউক্রেন, দক্ষিণ কোরিয়া, ন্যাটো এবং যুক্তরাষ্ট্র বহুদিন ধরে দাবি করে আসছে যে, রাশিয়ার পক্ষে লড়াই করতে উত্তর কোরিয়ার সেনাবাহিনী কুরস্ক অঞ্চলে প্রবেশ করেছে। তাদের অভিযোগ, উত্তর কোরিয়ার এই সৈন্যরা ইউক্রেনের যুদ্ধক্ষেত্রে রাশিয়ার সামরিক শক্তিকে আরও শক্তিশালী করছে। তবে এসব অভিযোগের সত্যতা নিয়ে উত্তর কোরিয়া বা রাশিয়া এখন পর্যন্ত নিশ্চিত কিছু প্রকাশ করেনি।

উত্তর কোরিয়ার এই অঙ্গীকার রাশিয়ার প্রতি তাদের প্রতিশ্রুতিকে আরও দৃঢ় করেছে। দু’দেশের মধ্যে কূটনৈতিক ও সামরিক সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হওয়ায় আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এই সম্পর্কের প্রতিক্রিয়া পর্যালোচনা করছেন বিশেষজ্ঞরা।