ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী হানিয়া হত্যার স্বীকারোক্তি, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার দাবী
- By Jamini Roy --
- 25 December, 2024
ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রয়াত প্রধান ইসমাইল হানিয়ার হত্যার দায় স্বীকার করেছেন। এই হত্যাকাণ্ডটি ২০২৩ সালের ৩১ জুলাই তেহরানে ঘটেছিল, এবং ইরান ও হামাস শুরু থেকেই এর জন্য ইসরাইলকে দায়ী করে আসছিল। ইসরাইলের এই স্বীকারোক্তির পর, ইরান তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলার মাধ্যমে প্রতিশোধ নেওয়ার ন্যায্যতা দাবি করেছে।
ইরানের রাষ্ট্রদূত আমির সাঈদ ইরাভানি জাতিসংঘে এক চিঠি লিখে এই হত্যাকাণ্ডকে 'জঘন্য অপরাধ' হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি জাতিসংঘ মহাসচিবকে জানান যে, ইসরাইলের এই স্বীকারোক্তি এটি প্রমাণ করেছে যে, ইসমাইল হানিয়ার হত্যার সম্পূর্ণ দায় ইসরাইলের। ইরান এটিকে ‘ইসরাইলের অপরাধ’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে এবং এর প্রতিক্রিয়া হিসেবে তারা ইসরাইলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর ন্যায্যতা দাবি করেছে।
ইরান ইতিমধ্যেই অক্টোবরে ইসরাইলের দিকে ২০০টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে, যা হানিয়ার হত্যার প্রতিশোধ হিসেবে দেখা হয়েছে। ইসরাইল দাবি করেছে যে, তাদের নিজস্ব আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এবং মিত্রদের বিমান বাহিনী বেশিরভাগ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করেছে। তবে, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর থেকে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ মন্তব্য করেছেন, “আমরা হুতিদের ওপর কঠোরভাবে আঘাত হানব এবং তাদের নেতৃত্বকে ধ্বংস করব... যেমনটা আমরা তেহরানে হানিয়া, গাজায় সিনওয়ার এবং লেবাননে নাসরুল্লাহর ক্ষেত্রে করেছি, ঠিক সেটাই আমরা হোদেইদা ও সানায় করব।” কাৎজের এই বক্তব্য আন্তর্জাতিক মঞ্চে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে, বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের জটিল রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায়।
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা সংগ্রামী নেতা ইসমাইল হানিয়ার হত্যার পর ইরান ও ইসরাইলের মধ্যে সম্পর্ক আরও তীব্র হয়ে উঠেছে। ইরান শুরু থেকেই ইসরাইলকে এই হত্যার জন্য দায়ী করে আসছে, এবং তাদের রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার জন্য এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিশোধ নেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করছে। ইরান বরাবরই এমন হামলার ন্যায্যতা দাবি করে আসছে, যেখানে তারা ইসরাইলের আগ্রাসন এবং মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন অঞ্চলে ইসরাইলের উপস্থিতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে থাকে।
এদিকে, ইসরাইলের এই স্বীকারোক্তি বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন রাষ্ট্রের প্রতিক্রিয়া আকর্ষণ করেছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এটি মধ্যপ্রাচ্যে নতুন একটি সংঘাতের পথ খুলে দিতে পারে, বিশেষ করে যদি ইরান ইসরাইলের প্রতি আরও আক্রমণাত্মক মনোভাব নেয়।