Logo

খেলাধুলা    >>   রুডিগার কি ১২ ম্যাচ নিষিদ্ধের ভয়েই ক্ষমা চাইলেন ?

রুডিগার কি ১২ ম্যাচ নিষিদ্ধের ভয়েই ক্ষমা চাইলেন ?

রুডিগার কি ১২ ম্যাচ নিষিদ্ধের ভয়েই ক্ষমা চাইলেন ?

Progga News Desk:

সেভিয়ার মাঠ লা কারতুজা স্টেডিয়ামে তখন মিনিট দেড়েকের খেলা বাকি। কোপা দেল রের ফাইনালে বার্সেলোনার বিপক্ষে রিয়াল মাদ্রিদ পিছিয়ে ৩-২ গোলে। এমন শ্বাসরুদ্ধকর সময়ে কিলিয়ান এমবাপ্পের ফ্রি-কিকের দাবি খারিজ করে দেন রেফারি রিকার্দো দে বুর্গোস।

রেফারির এই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি রিয়াল ডিফেন্ডার আন্তোনিও রুডিগার। বেঞ্চে থাকা এই ডিফেন্ডার রীতিমতো তেড়ে যান রেফারির দিকে।

স্প্যানিশ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, সেই সময় রেফারিকে লক্ষ্য করে কিছু একটা ছোড়াও হয়। ধারণা করা হচ্ছে, ডাগআউটে বক্সের মধ্যে থাকা বরফ ছুড়ে মারা হয়েছে রেফারিকে এবং সেটি রুডিগারই ছুড়েছিলেন।

সেই সময় রুডিগার রাগে ফুঁসছিলেন এবং তাঁকে মাঠের ভেতরে ঢুকে যাওয়া থেকে বিরত রাখতে রিয়াল মাদ্রিদের পাঁচ স্টাফকে রীতিমতো গলদঘর্ম হতে হয়েছে।

শেষ পর্যন্ত অবশ্য এই জার্মান ডিফেন্ডারকে থামাতে পেরেছেন অন্যরা। কিন্তু খুব স্বাভাবিকভাবেই এই আচরণের জন্য লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয়েছে তাঁকে। শুধু এটুকুই নয়, গুঞ্জন আছে রেফারির সঙ্গে এমন আচরণের কারণে বড় ধরনের শাস্তির মুখেও পড়তে হতে পারে রুডিগারকে। এমনকি নিয়মানুযায়ী রেফারিকে কোনো কিছু দিয়ে আঘাত করার সর্বোচ্চ শাস্তিস্বরূপ ১২ ম্যাচের নিষেধাজ্ঞায়ও পড়তে পারেন এই ডিফেন্ডার।

মাঠে মাথা গরম করলেও পরবর্তী সময়ে অবশ্য নিজের ভুল বুঝতে পেরেছেন রুডিগার। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামের একটি স্টোরিতে ক্ষমাও চেয়েছেন তিনি। সেখানে রেফারিসহ সবার কাছে দুঃখ প্রকাশ করে রুডিগার লিখেছেন, গতকাল রাতে আমার আচরণের কোনো অজুহাত হয় না। যার জন্য আমি দুঃখ প্রকাশ করছি। আমি আমার আচরণ এবং কাজে রেফারিসহ সবাইকে হতাশ করেছি, সে জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি। দ্বিতীয়ার্ধ থেকে আমরা খুব ভালো ম্যাচ খেলেছি। ১১১ মিনিট পর আমার আর দলকে সাহায্য করার সুযোগ ছিল না। আর শেষ বাঁশি বাজার আগে আমি একটা ভুল করেছি। গতরাতে হতাশ করার জন্য রেফারিসহ সবার কাছে আবারও দুঃখ প্রকাশ করছি।