Logo

আন্তর্জাতিক    >>   অধ্যাপক ইউনূসের ব্যাংক হিসাব ও বিতর্কিত কার্যক্রম নিয়ে সমালোচনা তুঙ্গে

অধ্যাপক ইউনূসের ব্যাংক হিসাব ও বিতর্কিত কার্যক্রম নিয়ে সমালোচনা তুঙ্গে

অধ্যাপক ইউনূসের ব্যাংক হিসাব ও বিতর্কিত কার্যক্রম নিয়ে সমালোচনা তুঙ্গে

নয়ন বিশ্বাস রকি, প্রজ্ঞা নিউজ ডেস্ক:

নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক মোহাম্মদ ইউনূস-এর ব্যাংক হিসাব ও তার কর্মকাণ্ড নিয়ে নতুন করে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। তার নামে বিশাল অঙ্কের ব্যাংক হিসাবের তথ্য ফাঁস হয়েছে, যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন মহলে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।

১৯৯০ সালে মাত্র ৬ হাজার টাকা বেতনের এমপি হিসেবে পরিচিত অধ্যাপক ইউনূস বর্তমানে বিশাল সম্পদের মালিক। অভিযোগ রয়েছে, তিনি ৬৮ একর জমিতে ‘নিঃসঙ্গ’ নামে একটি রিসোর্ট, উত্তরায় ৮ একর জমি, এবং ৬ হাজার কোটি টাকার নামে গ্রামীণ ব্যাংকের জমি ক্রয় করেছেন, যা বর্তমানে বিক্রির পরিকল্পনায় রয়েছে।

 

অর্থনৈতিকভাবে তার অবস্থান সম্পর্কে জানা গেছে

  • ৮২টি ব্যাংক FDR-এ ২৫২৫ কোটি ৩০ লাখ ৬২৭ টাকা জমা আছে।
  • ২৪টি ব্যাংকে ১২২৮১ কোটি টাকা FDR রয়েছে।• ২০২৩ সালে ব্যক্তিগত ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ১১১ কোটি টাকা পাওয়া গেছে (Standard Chartered Bank, South East Bank, Rupali Bank)।
  • প্রফেসর ইউনূস ফাউন্ডেশনে ৬ কোটি টাকা, ইউনূস ফ্যামিলি ট্রাস্টে ৫ কোটি টাকা, এবং বিভিন্ন ব্যাংকে ২০০১ সাল থেকে জমাকৃত ৬৬ কোটি টাকা রয়েছে।

এছাড়া, ২০০৬ থেকে ২০০৮ সালের মধ্যে তার নামে ৪৭৯ কোটি ৯০ লাখ টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে, যা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

 

গ্রামীণ ব্যাংক ও সাধারণ মানুষের অভিযোগ

সমালোচকদের দাবি, গ্রামীণ ব্যাংক সাধারণ মানুষকে ঋণের নামে শোষণ করেছে এবং উচ্চ সুদের ফাঁদে ফেলে দিয়েছে। যদিও প্রতিষ্ঠানটি ক্ষুদ্র ঋণ কার্যক্রমের জন্য বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত, তবে অনেকে এটিকে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর ওপর আর্থিক শোষণের হাতিয়ার হিসেবে দেখছেন।

অধ্যাপক ইউনূসের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ উঠেছে যে, তিনি তার ব্যক্তিগত ব্যবসা ও স্বার্থ হাসিলের জন্য বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় সফরকে কাজে লাগিয়েছেন এবং জনগণের করের অর্থ ব্যয় করেছেন।

 

দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক সংকট ও তার ভূমিকা

তার কর্মকাণ্ড ও সিদ্ধান্তের ফলে বাংলাদেশ আজ অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছে বলে সমালোচকরা অভিযোগ করছেন। বিগত ৮ মাসে ৩৬টি আন্তর্জাতিক ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ থেকে তাদের কার্যক্রম গুটিয়ে নিয়েছে, যা বিনিয়োগ সংকটকে আরও গভীর করেছে।

এছাড়া, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির পাশাপাশি গ্রামীণ ব্যাংকের কর ৫ বছরের জন্য মওকুফ করার বিষয়টি বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। অনেকেই বলছেন, সাধারণ মানুষের ওপর করের বোঝা বাড়িয়ে তার প্রতিষ্ঠানকে বিশেষ সুবিধা দেওয়া হয়েছে।

অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বে রাষ্ট্রীয় সংস্কারের প্রতিশ্রুতি থাকলেও স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাত ধ্বংসের পথে, এবং দেশে মৌলবাদী ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম বেড়েছে বলে অভিযোগ উঠছে।

বাংলাদেশের জনগণ এখন এই পরিস্থিতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হচ্ছে এবং অধ্যাপক ইউনূসের কার্যক্রম নিয়ে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে তদন্তের দাবি উঠেছে।